নিজস্ব প্রতিনিধি, মহালছড়ি :
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। প্রতি বছর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাসব্যাপী বৌদ্ধভিক্ষুরারা বর্ষাবাস পালন করে থাকেন।
কিন্তু এবার মলমাস (অধিমাস) হওয়াতে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধভিক্ষুরা এক মাস পিছিয়ে বর্ষাবাস শুরু করে। বর্ষাবাস শেষে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠান। এ ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়িতে গতকাল শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বিহারগুলো সাজানো হয়। এছাড়া বিভিন্ন বস্তুদান, বুদ্ধপূজা, স্বদ্ধর্মদেশনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অন্যদিকে মহালছড়ি প্রজ্ঞাবিদর্শন বৌদ্ধ বিহার কমিটি ও প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন কমিটি এবং রাখাইন যুবসমাজের আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১১টায় মহালছড়ির চেঙ্গী নদীতে রিছিমি (বড় করে ময়ূরপঙ্খী আদলে সজ্জিত কল্প জাহাজ) ভাসা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ৬ টায় বুদ্ধপতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়। এ সময় পঞ্চশীল প্রার্থনা ও গ্রহণসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করা হয়। এরপর সকাল ১১টায় মোমবাতি প্রজ্বলন করে জাহাজভাসা উৎসব শুরু হয়। একটা ইঞ্জিনচালিত নৌকার ওপর ওই কল্পজাহাজ তুলে কাপ্তাই লেক মহালছড়ি অংশের বিভিন্ন গ্রাম প্রদক্ষিণ করে সেটি। এবারের কল্পজাহাজটি বানানো হয়েছে ময়ূরপঙ্খীর আদলে। জাহাজভাসা উৎসবে মহালছড়ির বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন অংশগ্রহণ করে।