সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
শিরোপা লড়াইয়ের আশা শেষ হয়ে গেলেও জয়ের ক্ষুধা যে মেটেনি, তা শুরু থেকেই ফুটে উঠল দুই দলের পারফরম্যান্সে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়া এগিয়ে যেতেই পাল্টা আঘাত হানল মরক্কো। তাদের টানা আক্রমণের মুখেই দারুণ এক গোলে ফের এগিয়ে যাওয়ায় ক্রোয়াটরা কাতার বিশ্বকাপ শেষ করল তৃতীয় হয়ে। আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শনিবার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে ক্রোয়েশিয়া।
সেমি-ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কোনোরকম প্রতিরোধ গড়তে না পারা ক্রোয়েশিয়া এখানে ম্যাচ শুরু হতেই এগিয়ে যায়। সপ্তম মিনিটে মদ্রিচের ফ্রি কিকে ফাঁকায় বল পেয়ে ইভান পেরিসিচ হেডে বাড়ান ছয় গজ বক্সের সামনে, আর ডাইভিং হেডে পোস্ট ঘেঁষে গোলটি করেন ডিফেন্ডার ইয়োস্কো গাভারদিওল।
আসর জুড়ে অবিশ্বাস্য সব পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া মরক্কো পাল্টা জবাব দিতে দুই মিনিটও দেরি করেনি। ডান দিকের সাইডলাইন থেকে হাকিম জিয়াশের ফ্রি কিক তেমন ভালো ছিল না, তবে বক্সের মুখে ডিফেন্ডার লভরো মাইয়ের হেডে ফেরাতে গিয়ে উল্টো বল পাঠিয়ে দেন গোল মুখে। সেখানে হেডেই সমতা টানেন আশরাফ দারি। জাতীয় দলের হযে এই ডিফেন্ডারের এটাই প্রথম গোল।
প্রতিপক্ষের চাপের মুখে ২৮তম মিনিটে জিয়াশের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় ভালো একটি আক্রমণ করে আশরাফ হাকিমি। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে ছয় গজ বক্সে বল বাড়ান পিএসজি ডিফেন্ডার; কিন্তু একটু বেশি এগিয়ে ছিলেন ইউসেফ এন-নেসিরি।
প্রায় টানা ১৫ মিনিট আক্রমণে আধিপত্য করে মরক্কো। এই সময়ে আরও কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে তারা; কিন্তু মেলেনি গোল।
এরপরই ৪২তম মিনিটে মিসলাভ অরসিচের দারুণ নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় ক্রোয়াটরা। ডি-বক্সের মুখে মরক্কো বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে সতীর্থের পা ঘুরে বক্সের ডান দিকে পেয়ে যান অরসিচ। প্রথম ছোঁয়ায় নেন কোনাকুনি শট, বল দূরের পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়।