রাজু কুমার দে, সীতাকুণ্ড »
সীতাকু-ের বিএম কন্টেইনার ডিপোর দক্ষিণ পাশের সীমানা প্রাচীরের সাথে লাগোয়া হানিফের চায়ের দোকান। শনিবার অগ্নিকা-ের সময় পকেট গেইট বন্ধ থাকার কারণে শ্রমিকদের বের হতে বেগ পেতে হয়। বিস্ফোরণের পর তারা সীমানা প্রাচীর ডিঙিয়ে জীবন বাঁচানো চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সীমানা প্রাচীর উঁচু ও কাঁটাতার থাকায় তারা বিপাকে পড়ে। পরে চা দোকানদার হানিফ মই এনে ২৮-৩০ জন শ্রমিকের প্রাণ বাঁচান। মই দিয়ে আহত শ্রমিকদের সীমানা প্রাচীন ডিঙিয়ে নিয়ে আসেন। পরে স্থানীয়রা আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বিএম কন্টেইনার ডিপোর দক্ষিণ পাশে গিয়ে কথা হয় হানিফের (৫০) সঙ্গে। তিনি জানান, তিনি প্রায় ২ বছর আগে সন্দ্বীপের মুছাপুর এলাকা থেকে সীতাকু-ের বিএম কন্টেইনার ডিপোর দক্ষিণ পাশে এসে একটি চায়ের দোকান দেন। ৮ ছেলে মেয়েকে নিয়ে তিনি ডিপোর পাশে লালবেগ গ্রামে ভাড়া থাকেন। ঘটনার দিন রাতে তিনি দোকানে ছিলেন। রাতে যখন বিস্ফোরণ ঘটে শ্রমিকরা দিক বেদিক ছুটতে থাকে। তারা সীমানা প্রাচীর ডিঙিয়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সীমানা প্রাচীর উঁচু ও প্রাচীরের উপর তাঁর কাটা থাকায় পার হতে পারছিল না। পরে তিনি তার স্ত্রী নাছিমা আক্তারকে দিয়ে মই এনে প্রায় ২৮-৩০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করেন। আহতরা কেহ পুড়ে গেছেন। কারো হাত পা কেটে গেছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। শ্রমিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি নিজেও আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে জানান।
হানিফের ছেলে রিসাদ জানান, তার বাবা ভয়ে তাকে বাসা রেখে আসেন। পরে মাকে দিয়ে মই এনে জীবনবাজি রেখে আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করেন।
স্থানীয় ইউসুফ নামে একজন জানান, হানিফ খুবই সহজসরল। বিএম কন্টেইনার ডিপো এলাকায় তিনি চায়ের দোকান করেন। কখনো কারো সাথে তিনি ঝগড়া করেন না। ঘটনার দিন রাতে তিনি নিজের জীবনবাজি রেখে অনেক শ্রমিকের জীবন বাঁচিয়েছেন।