সুপ্রভাত ডেস্ক :
তুরস্কে সৈকত নগরী ইজমিরে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের একদিন পর ধ্বংসস্তুপের তলা থেকে আজ আরও অনেক মানুষকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। শক্তিশালী ভূমিকম্পটি তুরস্ক ছাড়াও নিকটবর্তী গ্রিসের স্যামোসে আঘাত করে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ এর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ বলে উল্লেখ করলেও তুরস্ক বলছে, এটি ছিল ৬.৬ মাত্রার। খবর বিবিসি বাংলার
এ পর্যন্ত মারা গেছে ২৭ জন, আর ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন ৮০০-রও বেশি মানুষ। ইজমির শহরে ত্রাণকর্মীরা ভেঙে পড়f কংক্রিটের টুকরোর মধ্য থেকে মানুষজনকে টেনে বের করছে। ইজমিরের মেয়র বলছেন, শহরের ২০টি ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তুপের তলায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে জরুরি বিভাগের কর্মীরা সারা রাত ধরে কাজ করেছেন। এপর্যন্ত ৭০ জনকে বের করা হয়েছে।
এরই মধ্যে শহরে কয়েকশ’বার ভূমিকম্প-পরবর্তী মৃদু কম্পন হয়। যার ফলে উদ্ধার তৎপরতা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
প্রতিবেশী দেশ গ্রিসেও এই ভূমিকম্প আঘাত করে। সেখান স্যামোস দ্বীপের একটি দেয়াল ভেঙে পড়ে দুটি কিশোর প্রাণ হারিয়েছে।
ভূমিকম্পের প্রভাবে ঐ অঞ্চলের সাগর থেকে যে প্লাবন তৈরি হয় তাতে ঐ দ্বীপের বন্দরগুলিতে জল ঢুকে পড়ে।
বিবিসি সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তুরস্ক এবং গ্রিসের দুই রাজধানীতেই তা অনুভব করা গেছে।
আর সম্ভবত এই ঘটনা শত্রুভাবাপন্ন দুই দেশের মধ্যে আলোচনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। দুই দেশের সরকার প্রধান ভূমিকম্পের পর টেলিফোনে কথা বলে পরষ্পরের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন।