নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া »
অর্থ-সম্পত্তির লোভে গুলি করে মাকে হত্যা করার ঘটনায় পটিয়া থানায় একটি মামলা রের্কড হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নিহত জেসমিন আকতারের মেয়ে শায়লা শারমিন নিপা বাদি হয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় এ মামলা করেন। মামলায় একমাত্র আসামি নিহতের পুত্র মাঈনুদ্দীন মো. মাইনু (২৯)।
এদিকে, ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে পুলিশ গুলির ১টি খোসা, পিস্তলের অব্যবহৃত ১টি গুলি ও ১০টি কার্তুজ উদ্ধার করেছে।
ঘটনার দিন রাতে মাইনুর পিতা জাতীয় পার্টির নেতা মরহুম শামসুল আলম মাস্টারের পটিয়ার দলীয় কার্যালয় থেকে পুলিশ একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত পিস্তলটি খুনের ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছে কিনা পুলিশ নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পটিয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম মাস্টার গত ১৩ জুলাই মারা যান। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা রেখে যান। এর মধ্যে মামলার বাদি নিপা ও নিহতের পুত্র মাশফিকুল আলম মাশফী অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। পিতা শামসুল আলম মাস্টারের মৃত্যুর খবর শুনে গত ২২ জুলাই তারা দেশে ফেরেন। এর মধ্যে ৪ আগস্ট পুনরায় ফিরে গেছেন ছোট পুত্র মাশফী। তবে পটিয়া ও চট্টগ্রাম শহরে থাকেন মাইনু। পিতার রেখে যাওয়া অর্থ বণ্টন নিয়ে মা ও বোনের সঙ্গে তার বাকবিত-া হয়। এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকে ১৩ লাখ টাকা ও জনতা ব্যাংকে পিতার অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩ লাখ টাকা। এসব টাকা নিয়ে ও ব্যাংকের নমিনী পরির্বতন নিয়ে মা ও বোনের সঙ্গে মইনুর বাকবিত-া হয়।
বাদির দাবি, মইনুর স্ত্রী আসিফা সুলতানার (২৮) কুপরামর্শে পরিকল্পিতভাবে তার মাকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে নিপাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করার চেষ্টা করে। কিন্তু পিস্তল থেকে গুলি বের না হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী নিপা প্রাণে বেঁচে যান। পরবর্তীতে মাকে পেয়ে গুলি করে। ঘটনার পর মইনু পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন মা জেসমিন আকতারকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেসমিন আকতারের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বুধবার বাদে আসর পটিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সবজারপাড়া এলাকার স্থানীয় একটি ঈদগাঁও মাঠে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পারিবারিক কবরস্থানে তার দাশ দাফন করা হয়েছে।
এদিকে, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পটিয়া থানার এসআই আমিনুল ইসলাম হাজারী বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে মইনুর বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন বলে ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন। আসামি মইনুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।