নিজস্ব প্রতিবেদক »
সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। শীত প্রায় চলে আসলেও এখনো সবজির বাজার এখনো গরম। তাছাড়া সোনালি মুরগির মতো সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন আলুর দাম অপরিবর্তিত। বেড়েছে পুরান আলুর দাম। সেই সঙ্গে চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে মাছ।
গতকাল শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। অন্যদিকে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা। আর লাল লেয়ার মুরগি আগের মতো কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।
মুরগির দামের বিষয়ে বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মো. সালামাত উল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার সকালেও ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫৫ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে গেছে। বেশি দামে কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করছি।
বক্সিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মো. লিমন বলেন, সোনালী মুরগির সরবরাহ অনেক বেড়েছে। বাজারে সোনালী মুরগির সরবরাহ ভালো। এ কারণে দাম একটু কম। তবে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।
মুরগির দামে হ্রাস-বৃদ্ধি থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে দাম স্থির রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন পাওয়া যাচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়। তবে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম বেড়ে এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে নতুন আসা আলুর কেজি এখনো ৫০ টাকা। পুরান আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা। সবজির বাজার ঘুরে পাওয়া তথ্যমতে, পুরান শিমের কেজি গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে বাজারে নতুন আসা লম্বা ও বিচি শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে গাজরের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ৪০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এর সঙ্গে টমেটোর দাম কমেছে। তবে পাকা টমেটোর কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ফুলকপির ও বাধাকপির কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় থাকা অন্য সবজির মধ্যে কাঁচকলার জোড়া ১২ থেকে ১৫ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।
মাছবাজারে গিয়ে দেখা যায়, শিং মাছের কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে টাকি মাছ। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। রুই মাছ ও কাতল মাছ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম আবারো ঊর্ধ্বমুখী
এখনো গরম সবজির বাজার