সুপ্রভাত ডেস্ক »
প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি জয় লিয়োনেল মেসির। ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে জয় পেল আর্জেন্টিনা। অ্যাঞ্জেলো দি মারিয়ার গোলে জয় পেল তারা। ২৮ বছর পর কোপা জয় আর্জেন্টিনার।
শুরু থেকেই একে অপরের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিল দুই দল। তবে অ্যাঞ্জেলো দি মারিয়ার গোলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। আগের ম্যাচ গুলোতে বদলি নেমে আলো ছড়াচ্ছিলেন দি মারিয়া। আজ শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়ে তিনিই গড়ে দিলেন ব্যবধান। তার গোলেই ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা।
২০০৪ সালের পর কোপা আমেরিকার ফাইনালে গোল করলেন কোনও আর্জেন্টিনার ফুটবলার। রডরিগো ডি পলের বাড়ানো পাস আটকাতে ব্যর্থ হন ব্রাজিলের রেনান লোডি। পা বাড়িয়েছিলেন তিনি, কিন্তু পৌঁছতে পারেননি।সেই বল পেয়ে যান দি মারিয়া। একাই এগিয়ে যেতে থাকেন বল নিয়ে। তাঁর গতির সঙ্গে পেরে ওঠেনি কেউ। গোলের সামনে পৌঁছে ব্রাজিলের গোলরক্ষক এডেরসন মোরায়েজের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালের ভিতর।
এক গোলের লিডের পর রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ার কৌশলে চলে গেছে আর্জেন্টিনা। মহারণের পরের অর্ধে তাই হয়েছে। ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকলাস অটামেন্ডিরা ব্যস্ত ছিলেন নেইমার, রিশার্লিসন, ফিরমিনোদের আক্রমণ সামলাতেই। একটা গোল তো হজম করেই ফেলেছিল। লাইন্সম্যানের অফ সাইডের বাঁশি বেজেছিল বলে বেঁচে যায়।
কিন্তু এরপরও ব্রাজিলের আক্রমণ থামেনি, আর্জেন্টাইন দেয়াল অবশ্য সেসব সামলাচ্ছিল ভালোভাবেই। ৭৫ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে বড় সুযোগটা পেয়েছিল ব্রাজিল। সেটা গোল হয়ে গেলে সমতাও চলে আসত ম্যাচে। কিন্তু রিশার্লিসনের সেই শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনার জাল অক্ষত রাখেন সেমিফাইনালের নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
প্রতি আক্রমণে আর্জেন্টিনাও কম ত্রাস ছড়াচ্ছিল না ব্রাজিল রক্ষণে। ৮৮ মিনিটে মেসির গোলটা হয়ে গেলে আরও মিনিট সাতেকের অপেক্ষাটাই থাকত না আর্জেন্টিনার। কিন্তু রদ্রিগো ডি পলের বাড়ানো বলটা আয়ত্বে নিয়েও গোল করতে পারেননি মেসি। এরপর কেটেছে একে একে আরও সাত মিনিট। আর্জেন্টিনা চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় সামলেছে সব আক্রমণ। এরপর বাজল শেষ বাঁশি, এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যার অভাব আর্জেন্টিনাকে ২৮ আর মেসিকে পুরো ক্যারিয়ারজুড়েই উপহার দিয়েছে হতাশা, সে অভাব ঘুচল। আর্জেন্টিনা বনে গেল কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন।