নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজারের বহুল আলোচিত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এলএলবি ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র জিয়াউদ্দিন ফয়সাল হত্যাকা-ে জড়িত থাকার অপরাধে ৪ জনকে মৃত্যুদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলার অপর দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার ৯ আসামির মধ্যে তিনজন দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেন বিচারক।
মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের পূর্ব মাছুয়াখালীর নুরুচ্ছফার ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ বুইল্লানির ছেলে (২০), মৃত আমান উল্লাহর ছেলে নুরুল হক (২৩), মৃত অছিয়র রহমানের ছেলে রমজান আলী (২৫) ও মো. ইসহাকের ছেলে রুবেল (২৩)। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্তরা হলেন একই এলাকার আবছারের ছেলে শাহিন উদ্দিন (২৩) ও দুদু মিয়ার ছেলে মনি আলম (১৯)।
গতকাল বুধবার দুপুরে এসটি ১২৮/১৮ শুনানি শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এই রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণাকালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল রাতে পিএমখালীর পূর্ব মাছুয়াখালী এলাকায় মাদক কারবারিদের সশস্ত্র হামলায় নিহত হন জিয়া উদ্দিন ফয়সাল।
পরের দিন ১৭ এপ্রিল এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন ফয়সালের পিতা মো. নুরুল আনোয়ার। ৪ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কুতুব উদ্দিন খান। ২০১৮ সালের ১ মার্চ মামলার চার্জ গঠন করা হয়।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ও রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, এজাহারের ৯ জন আসামির মধ্যে ৬ জনকে প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্ত করে বিচার করতে এবং অবশিষ্ট ৩ জন আসামিকে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদেরকে মামলার দায় হতে বাদ দিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) আদালতে প্রার্থনা করেন।
মামলাটির সাক্ষী, আলামত প্রদর্শনসহ বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু আদালতে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রপক্ষ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলাটির রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করে।
এলাকাবাসী জানায়, জিয়াউদ্দিন ফয়সাল এলাকায় প্রতিবাদী যুবক হিসেবে পরিচিত ছিল। মাদকসহ প্রায় অপরাধের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার থাকতেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। এ কারণে চিহ্নিত মাদক কারবারিরা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।