সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
পারিবারিক কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। কঠোর বিধিনিষেধে খেলা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও। এরপর নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফিরলেও রান করতে পারেননি। ৫ ম্যাচে মুশফিকের সংগ্রহ ছিল ৩৯! তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ফিরে পেতে ‘এ’ দলের হয়ে দুটি ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রথম ম্যাচেই দিলেন সুখবর, খেলেছেন ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। মুশফিকের সঙ্গে ইমরুল কায়েসের হাফসেঞ্চুরিতে আকবর আলী-শামীম হোসেনদের নিয়ে গড়া হাই পারফরম্যান্স ইউনিটকে (এইচপি) ৬ উইকেটে হারিয়েছে ‘এ’ দল।
শুধু মুশফিক নন, বিশ্বকাপের মূল দলে থাকা শামীম হোসেন এবং স্ট্যান্ড বাই আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও রুবেল হোসেন খেলেছেন ম্যাচটি। মুশফিকই কেবল রানের দেখা পেয়েছেন। শামীম ও বিপ্লব দুজনই করেছেন ৮ রান। বল হাতে শামীম-আমিনুল একটি করে উইকেট নিয়েছেন। আর রুবেল ৩২ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট।
আজ (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুশফিক-মুমিনুল-ইমরুল-শান্ত-মিঠুনদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে মাঠে নামে এইচপি। আগে ব্যাট করে বিশ্বকাপজয়ী দলের ওপেনার তানজিদ হাসানের ৮১ ও শাহাদাতের ৫১ রানের ইনিংসে ভর করে এইচপি ৪৮.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে করে ২৪৭ রান। অধিনায়ক আকবর আলী ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৪ বলে ২৮ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। তানজিদ ৯৩ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৮১ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। শাহাদাত ৬৪ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এছাড়া মাহমুদুল হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান।‘এ’ দলের মোসাদ্দেক হোসেন ৪ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া রুবেল ও শহিদুল ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
২৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা প্রত্যাশামতো করতে পারেনি ‘এ’ দল। দলীয় ৩৫ রানে ফেরেন শান্ত (২৭)। এরপর ইমরুলকে সঙ্গে নিয়ে মুমিনুল ৫৮ রানের জুটি গড়েন। মুমিনুল ৪৫ বলে ২৯ রানে বিদায় নিলেও ইমরুল পান হাফসেঞ্চুরির দেখা। ৮১ বলে ৫ চারে ইমরুল ৬০ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এরপর মোসাদ্দেক ২৪ রানে আউট হলেও মুশফিক ও মিঠুন অবিচ্ছিন্ন থেকে ম্যাচ শেষ করেন। পঞ্চম উইকেটে তারা ৫৬ রানের জুটি গড়েন।মুশফিক ৯১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন। মিঠুন ২৩ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে ১৩ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ‘এ’ দল। এইচপির সুমন খান ২ উইকেট নিয়েছেন।