সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
সামনের আসরের জন্য এরই মধ্যে ৭ ফ্রাঞ্চাইজির নাম চূড়ান্ত করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। এবার জানা গেলো, দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। খবর জাগোনিউজের
গতকাল (সোমবার) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানালেন, এবার সর্বোচ্চ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার পারিশ্রমিক পাবেন ৮০ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা। বিপিএলের পরবর্তী আসর মাঠে গড়াবে আগামী বছরের ৬ জানুয়ারি। গতবারের মতো এবারও তিন ভেন্যুতে গড়াবে সব ম্যাচ (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট)। সবমিলিয়ে ম্যাচ হবে ৪৬টি। এবারর বিপিএলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের বিষয়ে ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, ‘লোকালের (স্থানীয়) ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আমরা ৮০ লাখ রাখব। এটা ড্রাফট থেকে যাবে। আর সরাসরি সাইনিং সর্বোচ্চ বলে কিছু না। এটা খেলোয়াড় ও ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ঠিক করে। ফরেনের (বিদেশি) ক্ষেত্রেও ৮০ হাজার ডলার। আমি এমনে বলে দেই ৮০ লাখ, ৫০ লাখ, ৩০ লাখ, ২০ লাখ, ১৫ লাখ, ১০ লাখ, ৫ লাখ। এরকম থাকবে। সাতটা গ্রেড। আইকন বলে কিছু না। সরাসরি সাইনিং খেলোয়াড় টপ গ্রেডেড সরাসরি সাইনিং হবে।’
এবারের বিপিএলের সময়ে বিদেশি লিগে ব্যস্ত থাকবেন নামকরা ক্রিকেটারদের বেশিরভাগ। তাই বড় খেলোয়াড় পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে বিদেশি ক্রিকেটার নিবন্ধনে বাধ্যবোধকতা রাখছে না বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। অর্থাৎ কোনো ক্রিকেটার চাইলে এক ম্যাচের জন্যও খেলতে আসতে পারবেন।
মল্লিক বলেন, ‘লোকাল সরাসরি সাইনিং আমরা একটা এলাউ করব। বাকি ড্রাফট থেকে নিতে হবে। আর বিদেশিদের ব্যাপারে আপনারা জানেন যে সাউথ আফ্রিকান লিগ, ইউএই লিগ এসবে ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজিরাই মালিক। বেশিরভাগ বিদেশি খেলোয়াড় ওইদিকে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে। আমরাও টুর্নামেন্টটা আগপিছ করতে পারছি না জাতীয় দলের ব্যস্ততার জন্য। সেক্ষেত্রে যে জিনিসটা হচ্ছে বিদেশি খেলোয়াড় সর্বোচ্চ চারজন খেলতে পারবে একটা দলে, তবে মাঠে সর্বনিম্ন দুজন যেন থাকে এরকম পরিকল্পনা করছি। বিদেশি খেলোয়াড়ের রেজিস্ট্রেশনেও (নিবন্ধন) বাধ্যবাধকতা রাখব না। ধরেন কেউ তিনদিনের জন্য এসে খেলে গেলেও তার বদলি আরেকজন আসতে পারে আরকি।’
কেন বিদেশি খেলোয়াড়দের চুক্তিতে বাধ্যবোধকতা রাখা হচ্ছে না সেই ব্যাখ্যাও দিলেন মল্লিক, ‘আইপিএল ছাড়া অনেক টুর্নামেন্ট এখন, কাজেই ফরেন প্লেয়ার পাওয়াটাই এখন কঠিন।
অনেকে বলছে এই সময়টায় টুর্নামেন্ট করছি। আসলে বাংলাদেশ জাতিয় দলের কমিটমেন্টগুলো এমন আছে, যা সম্ভব না। পরের বছর বা তার পরের বছর হয়তো এটা সমস্যা হবে না। একটু আগে আনলে হয়তো বেটার সময় পাব।’
যেহেতু ভালো বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়ার সম্ভাবনা কম, তাই এবারের বিপিএলে বাস্তবতা মেনেই নিচ্ছে আয়োজকরা। মল্লিকের কথা, ‘আমরা চাই আমাদের ঘরোয়া আমাদের অন্যতম সেরা টুর্নামেন্ট করতে। আগের প্যারামিটার দিয়ে বলতে পারব না আমরা একেবারে আইপিএলের বা পিএসএলের মানে করতে পারব। সেটা আমাদের জন্য করা এই মুহূর্তে কঠিন। কারণ এটা অনেক খরচের ব্যাপার। তবে আমরা আমাদের অন্যতম সেরা ঘরোয়া ঘরোয়া টুর্নামেন্ট করতে চাই।’