এক মাসের মধ্যে আবার বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম। এবার ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। মার্চ মাসের বিল থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হবে। তবে এবার ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ানো হলেও পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়নি।
গত মঙ্গলবার রাতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে বলা হয়, বিদ্যুতের নতুন দাম মার্চ মাস থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে গত জানুয়ারিতে দুই দফায় বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম। এটি জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে দুই ভাগে কার্যকর হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনে খুচরা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ও পাইকারি পর্যায়ে ৮ শতাংশ বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম।
প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পিডিবির এখন খরচ হচ্ছে প্রায় ১১ টাকা। এখন তারা এটি পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি করছে ৬ টাকা ৭০ পয়সায়। এতে আয়-ব্যয়ে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে পিডিবির।
বিপুল ভর্তুকি কমাতে সরকার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম এখন দফায় দফায় বাড়াচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মাসে মাসে দর সমন্বয় হতে পারে। দাম বাড়াতে এখন আর গণশুনানির প্রয়োজন হচ্ছে না। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) পাশ কাটিয়ে নির্বাহী আদেশে বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। এই ঋণের অন্যতম শর্ত হচ্ছে, সরকারের ভর্তুকি কমানো। বাংলাদেশ আলোচনা পর্যায় থেকে এই শর্ত পূরণের অংশ হিসেবে মাসে মাসে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে।
এখন পর্যন্ত গত ১৪ বছরে পাইকারি পর্যায়ে ১১ বার ও খুচরা পর্যায়ে ১৩ বার বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম।
এমন একটি সময়ে সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে, যখন বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ব্যাপক চড়া। ভোক্তা পর্যায়ে মাসে মাসে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। এবার বাড়ল আরও ৫ শতাংশ। এতে তিন মাস ধরে প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিলে যুক্ত হচ্ছে নতুন খরচ। সব মিলিয়ে বাড়তি খরচের চাপ সামলাতে আরও হিমশিম খাবেন ভোক্তারা।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়বে সব খাতেই। এতে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে, বাড়বে মূল্যস্ফীতির হারও। সরকারি হিসাবেই দেশের মূল্যস্ফীতির হার এখন ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এ মুহূর্তের সংবাদ