চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বিদায়ী বছরটি মহাকালের গর্ভে হারিয়ে গেলেও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের মধ্যদিয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিগত বছরটিতে করোনার মতো একটি সর্বগ্রাসী মহামারী থাবা দিলেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব ও বিচক্ষণায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং জনগণের মাঝে টিকা প্রদান কার্যক্রম সফলভাবে প্রদান করে আমাদের জন্য পরম স্বস্তি এনে দিয়েছে। তাই নতুন বছরে বাংলাদেশের জন্য যে অপার সম্ভাবনার দোয়ার খোলা আছে তা আমাদের জন্য মহান সৌভাগ্যের বিষয়। এই বছরে নানা ধরণের মানবিক ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটলেও বাংলাদেশের গড় আয় বৃদ্ধি, প্রবাসীদের রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স সরবরাহ এবং জাতীয় অর্থনৈতিক তহবিল সমৃদ্ধ থাকায় বাংলাদেশ আজ একটি উন্নয়নশীল দেশে স্বীকৃতি লাভ করেছে। তিনি গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধুর মজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনোপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মতি টাওয়ার সম্মুখ চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাঙালী জাতির স্বাধীনতা সুপ্রতিষ্ঠিত হলেও পরিপূর্ণ মুক্তি অর্জনের আগেই ’৭৫এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি পরিকল্পিতভাবে তাকে স্বপরিবারে হত্যা করে এদেশকে পাকিস্তানী ভাব ধারায় পরিচালিত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে প্রত্যাবর্তন করে আওয়ামী লীগের হাল ধরে দেশকে আজ বর্তমান অবস্থায় উত্তীর্ণ করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর আরদ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়নে একের পর এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে চলেছেন। তিনি আরো বলেন, বছর দু’একের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য মহল বিশেষের নানামুখী অপতৎপরতা লক্ষনীয়। যারা কখনো মনে প্রাণে বাংলাদেশ চায়নি এবং স্বাধীনতা ও সার্ভৌমত্বকে স্বীকার করতে চায় না তারা দেশ বিরুধী ষড়যন্ত্রকারী। তাদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক চন্দন ধর, আরো বক্তব্য রাখেন, কাজী মোজাম্মেল হক খোকা, ফারুক খালেক চৌধুরী, আলহাজ্ব মো. নাজিম উদ্দীন, নুর মোস্তফা টিনু, কামরুল হাসান, এ.কে.এম আনিছুজ্জামান, মুজিবুর রহমান, মো. মহিউদ্দীন, জাহেদুল ইসলাম, জিএম তৌসিফ, মুজিবুর রহমান রাসেল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর