বিজিএমইএ’র আঞ্চলিক কার্যালয় এর মাহাবুব আলী হলে প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামস্থ ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের ৮০ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মিড-লেভেল কর্মকর্তাদের বৃহস্পতিবার সনদ বিতরণ করা হয়।
উক্ত সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম-এর উপ-মহাপরিদর্শক মো. আল আমীন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ’র পরিচালক ও এনজিওস অ্যান্ড শিপ অ্যাফেয়ারস বিষয়ক স্থায়ী কমিটি পরিচালক ইনচার্জ এনামুল আজিজ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজিএমইএ’র পরিচালকবৃন্দ অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন ও মিরাজ-ই-মোস্তফা কায়ছার, বিজিএমইএ’র প্রাক্তন পরিচালক ও ক্লিফটন গ্রুপের সিইও এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং প্রাক্তন পরিচালক সাইফ উল্ল্যাহ মনসুর।
এছাড়াও এনজিও অ্যান্ড সেইফ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মোহাম্মদ চৌধুরী, কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ, সদস্যবৃন্দ, বিজিএমইএ’র সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন গার্মেন্টস্্ প্রতিষ্ঠানের মিড-লেভেল কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম-এর উপ-মহাপরিদর্শক মো. আল আমীন বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জিডিপি’তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রপ্তানী বৃদ্ধির লক্ষ্যে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট মিড-লেভেল কর্মকর্তাগণসহ শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। প্রশিক্ষিত জনশক্তিই দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা পালন করে ভবিষ্যতে বিদেশে রপ্তানী সম্ভব হবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি চলমান করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি বিধান প্রতিপালন পূর্বক পোশাক কারখানা চালু রেখে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য বিজিএমইএ সহ পোশাক শিল্প মালিকগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চালু রেখে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিজিএমইএ’র পরিচালক এবং এনজিওস অ্যান্ড শিপ অ্যাফেয়ারস বিষয়ক স্থায়ী কমিটি পরিচালক ইনচার্জ এনামুল আজিজ চৌধুরী বলেন, পোশাক শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষিত মানব সম্পদের বিকল্প নাই। সোশ্যাল কমপ্লাইয়েন্স অ্যান্ড ফাইয়ার সেইফটি বিষয়ের উপর যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তা নিজ নিজ কারখানায় কাজে লাগিয়ে অন্যদের প্রশিক্ষিত করে মান সম্পন্ন কারখানা তৈরিতে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
বিজিএমইএ’র পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ পোশাক শিল্পের বর্তমান ক্রান্তিকাল উত্তরণে উক্ত প্রশিক্ষণ বিশেষ ভূমিকা রাখবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিজিএমইএ’র প্রাক্তন পরিচালক ও ক্লিফটন গ্রুপের সিইও এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বর্তমান করোনাকালীন দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য-বিধি যথাযথভাবে প্রতিপালনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিজিএমইএ’র এনজিও অ্যান্ড সেইফ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় আরো বৃহৎ পরিসরে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন জে এম এস গ্রুপের এক্সিকিউটি অফিসার সায়েরা খাতুন ও এশিয়ান গ্রুপের এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর