নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী »
বাঁশখালীতে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনের এক পর্যায়ে পুলিশ-বিএনপি মুখোমুখি সংঘর্ষে এএসপি (সার্কেল), ওসি, তদন্ত ওসিসহ ২৮ জন আহত হয়েছেন। গতকাল এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহীদুল হকও রয়েছেন।
জানা গেছে, বিএনপি বাঁশখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয়। ওই সমাবেশ পুকুরিয়া ইউনিয়নে করার কথা ছিল। কিন্তু বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ বিএনপি’র সমাবেশের খবর জেনে শুক্রবার সকাল থেকে পুরো বাঁশখালীর প্রধান সড়কে ইউনিয়নভিত্তিক নেতা-কর্মীরা যার যার অবস্থানে সভা সমাবেশের ডাক দিয়ে রাস্তা দখল করে রাখে। বিএনপি এই খবর জানতে পেরে সমাবেশ আয়োজন করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী পশ্চিম গুনাগরীর বাড়িতে। বিকাল ৪টায় ওই সমাবেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তাদের বাড়ি হয়ে প্রধান সড়কে আসার এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। ওই সময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের অধিকাংশ নেতা-কর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। এই সংঘর্ষ বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। অর্ধশতাধিক পুলিশ রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর মোবাইলে বেশ কয়েকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী বলেন, মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যাওয়ার পথে পুলিশ বাধা দিলে ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয়েছে। অহেতুক পুলিশের ওপর হামলা করা হয়নি। অনেক চেষ্টা করেও সমাবেশের দিকে যেতে পারিনি।
দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মিসকাতুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পা জানিয়েছেন, তাদের নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের ভুল বুঝাবুঝির কারণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
অপরদিকে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিএনপি’র মিছিল থেকে নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে অতর্কিত পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এএসপি (আনোয়ারা সার্কেল) মো. হুমায়ন কবির, ওসি মো. কামাল উদ্দিন, ওসি তদন্ত এস এম আরিফুর ইসলাম, এস আই নজরুল ইসলামসহ ১১ কনস্টেবল।