বাকলিয়ার বাস্তুহারা এলাকায় বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এই এলাকায় যারা বসবাস করেন তাদের অর্থিক সহযোগিতায় এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, এইখানে আমি সাধ্যমতো সামিল হয়েছি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহধর্মিণী, যিনি জাতির পিতাকে আজীবন সাহস যুগিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করায় উদ্যোক্তাদের আমি বিশেষ ধন্যবাদ জানাই। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কে?
বঙ্গমাতা কে? এইসব বিষয়ে তোমাদের জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু না হলে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না আর বঙ্গমাতা তাকে স্ত্রী হিসেবে, সহধর্মিণী হিসেবে আজীবন সাহস দিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন।
তাই আমি তোমাদের অনেক সৌভাগ্যবান বলে মনে করি যে তোমরা বঙ্গমাতার নামে প্রতিষ্ঠিত চমৎকার বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫০০ এর মত শিক্ষার্থী পড়ালেখার করার সুযোগ পাচ্ছো।
শুধু বঙ্গমাতার নামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে পড়লেই শুধু হবে না সাথে সাথে তোমাদের বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতার আদর্শও নিজেদের মধ্যে ধারণা করতে হবে। তোমাদের পড়ালেখার সুবিধার্থে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বেতন প্রদানের জন্য আমি ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা করে দেবো। আর বাকি খরচ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সমিতি বহন করলে বাচ্চাদের আর কোন টাকা বিদ্যালয়ে দিতে হবে না।
তিনি আরো বলেন, বাচ্চারা যখন বড় হবে তখন আমরা তাদের নানাধরনের কাজ শিখাবো, কারিগরি প্রশিক্ষণ দেবো, কম্পিউটার ট্রেনিং করাবো যাতে করে তারা বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে।
দক্ষতা অর্জন করতে সফল হলে তারা দেশে-বিদেশে কাজ পাবে। বেকার বসে থাকতে হবে না।
বাস্তুহারা বাসীদের উদ্দেশ্য উপমন্ত্রী বলেন, আমাদের নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সাহেব যখন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ছিলেন তখন এই বাস্তুহারা এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছিলেন। যেইখানে সল্প ভাড়ায় বাস্তুহারা বাসী বসবাস করতে পারতেন। কিন্তু কি কারণে সেই প্রকল্প থমকে গেল তা আমরা খবর নিয়ে এই প্রকল্প আবার চালু করার চেষ্টা চালাবো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়নের ছোঁয়া সবখানে লেগেছে, আশাকরি এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মাধ্যমে বাস্তুহারা বাসিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের সুফল ভোগ করবেন।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ে টিনা স্থাপনের জন্য শিক্ষা উপমন্ত্রী তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেছিলেন।
বাকলিয়া বাস্তুহারা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ সভাপতি উত্তম কুমার সুশীলের সভাপতিত্বে এবং মাস্টার স্বপন কুমার বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর হাজ্বী নুরুল হক, ৩৫নং বক্সিরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ চৌধুরী বাহাদুর, ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগে আহবায়ক আলহাজ্ব ইউনুস কোম্পানি, মহিলা কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহিম, আরো বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, রফিকুল ইসলাম রুবু, তাপস কান্তি দাশ, প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি