বাবুল আক্তারের মামলায় তার বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র

সুপ্রভাত ডেস্ক »

চট্টগ্রামের মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ছয় বছর আগে যে মামলা করেছিলেন, তাতে তাকেই প্রধান আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। খবর বিডিনিউজের।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের সুপার নাঈমা সুলতানার নেতৃত্বে তদন্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মো. ওমর ফারুকসহ এ সংস্থার একটি দল মঙ্গলবার আদালতে গিয়ে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

নাঈমা সুলতানা বলেন, মোট সাতজনকে এ মামলার অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে।

‘তদন্তে আমরা বাবুল আক্তারকে আসামি হিসেবে পেয়েছি। আমরা আগে বারবার বলেছি হত্যাকা- কেন হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় সাড়ে তিন বছর আমরা তদন্ত করেছি। ১ নম্বর আসামি বাবুল আক্তার কীভাবে জড়িত তা আমরা পেয়েছি।’

বাকি আসামিদের নাম জানতে চাইলে নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘তদন্ত করে যাকে আসামি পেয়েছি, তাদেরই অভিযুক্ত করেছি। বিচার প্রক্রিয়ায় গেলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। নো মোর কমেন্টস।’

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার এডিসি কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছি। সংশ্লিষ্ট আদালত এটা দেখবেন। ১০ অক্টোবর এ মামলার ধার্য দিন আছে।’

এ মামলার কার্যক্রম চলছে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেসার আদালতে। হেফাজতে নির্যাতন ও কারাগারে কক্ষ তল্লাশির অভিযোগে বৃহস্পতিবার ও সোমবার দুটি অভিযোগ করেছিলেন বাবুল আক্তার। দুটি আবেদনের বিষয়ে ১৯ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য আছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

হত্যাকা-ের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন সে সময় পুলিশ সুপার পদে থাকা বাবুল আক্তার।

মিতু হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খোদ বাবুলের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে ২০২১ সালের ১২ মে তার করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। এরপর সেদিনই বাবুলসহ ৯ জনকে আসামি করে নতুন হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।

আইনি জটিলতার কারণে এ বছরের ২৫ জানুয়ারি মোশাররফ হোসেনের করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। ৬ মার্চ সেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে বাবুলের করা মামলার তদন্ত শেষ করতে বলে আদালত। বাবুল এখন নিজের করা মামলাতেই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।