এন এ জাকির, বান্দরবান »
বান্দরবানে সকল পর্যটন স্পট খুলে স্পট খুলে দেয়ার প্রথম দিনে আশানুরুপ সাড়া মেলেনি পর্যটকদের। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে বান্দরবানের সব পর্যটন কেন্দ্র। সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখে গেছে পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের দেখামেলেনি। তবে মেঘলা নীলাচল ও নীলগিরি শৈলপ্রপাত পর্যটন কেন্দ্রে কিছু পর্যটককে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করছে।
নগর জীবনের কোলাহল ছেড়ে দীর্ঘদিন পর পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসা এক পর্যটক বলেন- অনেকদিন পর ঘুরতে আসতে পেরে আমরা খুব খুশি। প্রতি বছর পর্যটন নগরী বান্দরবানে হাজারো পর্যটকের আনাগোনা থাকে। এদিকেদীর্ঘদিন পর জেলার পর্যটন স্পট খুলে দেওয়াতে স্বস্তি এসেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মাঝে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা হোটেল মোটেল রিসোর্ট রেস্তোরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে পর্যটকদের থাকার উপযোগী করে তুলেছে ব্যবসায়ীরা। সেই সাথে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা পর্যটন স্পটগুলো মেঘলা, নীলাচল, নীলগীরী, শৈলপ্রপাত, প্রান্তিকলেকসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সাজানো হয়েছে।
বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন,পর্যটকরা পর্যটন কেন্দ্র ও হোটেল রেস্তোরায় স্বাস্থ্য বিধি মানছে কিনা তা তদারকি করতে আমরা মাঠে রয়েছি। মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধিমানাতে পুলিশের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে জেলা শহর ও উপজেলার প্রায় ৬০টি আবাসিক হোটেল-মোটেলে দৈনিক পাঁচ হাজারের বেশি পর্যটক আসে। পর্যটকদের সেবায় প্রায় ১ হাজার ২৫০ জন কর্মী, ৩৫০ জন ট্যুরিস্ট গাইড, পাঁচ শতাধিক গাড়ি চালক ও চালকের সহকারী এবং খাবারের দোকানের কর্মচারীদের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। কিন্তুবিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সারা দেশের ন্যায় বান্দরবানেও বন্ধ ছিল সকল পর্যটন স্পট। পর্যটন স্পট বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়ে তারা। সরকারি নির্দেশনা মতে পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ায় তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।