সুপ্রভাত ডেস্ক »
‘ঘর সামলাই, ব্যবসাও সামলাই’- নারী দিবস উপলক্ষে এই বার্তা দিয়েছে একটি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। যেটা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের প্লাবন বয়ে যাচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়। অনেকেই যার যার সামলানোর ফিরিস্তি দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ সেই ক্যাম্পেইনের সমালোচনায় খরচ করছেন নিন্দা।
এই সামলানো ইস্যুতে শামিল হলেন অভিনেত্রী, চিত্রশিল্পী ও কবি আশনা হাবিব ভাবনা। তবে অন্যদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে, একেবারে বাস্তব প্রমাণসমেত তিনি নিজের অবস্থানের জানান দিয়েছেন। একটি বাজারে গিয়ে ছবি এঁকেছেন ভাবনা। আর সেই মুহূর্ত ক্যামেরায় বন্দি করে জানালেন নারী দিবসের শুভেচ্ছা।
সোশাল হ্যান্ডেলে ভাবনার স্পষ্ট বার্তা, ‘বাসার বাজার সামলাই না, বাজারে গিয়ে ছবি আঁকি।’ হ্যাশট্যাগে যুক্ত করেছেন বহুল পরিচিত কথা ‘মাই লাইফ মাই রুলস’।
ব্যতিক্রম কাজটি সম্পর্কে জানতে বাংলা ট্রিবিউন যোগাযোগ করে ভাবনার সঙ্গে। তিনিও খোলাসা করলেন এসব ছবির আড়ালের ভাবনাগুলো। বলেন, ‘গতকাল (৭ মার্চ) রাতেই হাতিরপুল বাজারে গিয়ে ছবিটা এঁকেছি। আসলে বাজার আমার খুব পছন্দ। মাঝে মধ্যে গভীর রাতে বাজারে যেতে ইচ্ছে করে, কিন্তু যেতে পারি না। কারণ, আমার আশপাশের মানুষেরা বলেন, যাওয়া যাবে না, হ্যানত্যান! তবে আমার খুব ইচ্ছা যে বাজারে গিয়ে ছবি আঁকবো। সেই ইচ্ছে থেকে আগেও একাধিকবার বাজারে গিয়ে ছবি এঁকেছি। গতকাল মনে হলো যে এটাকে ক্যামেরায় ধারণ করা দরকার।’
বাজারে গিয়ে ভাবনা যে ছবিটি এঁকেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি পদ্মফুলের ওপর একজন গর্ভবতী নারীর অবয়ব। এর মাধ্যমে নারীর সৌন্দর্য এবং মাতৃত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন অভিনেত্রী।
ঘর-বাইর সামলানো বিতর্ক নিয়ে ভাবনা বলেন, ‘যার যেটা ইচ্ছা। আমার জীবন, আমার নিয়ম। আমি বাজার করতে বাজারে যাই না। কিন্তু বাজারে তো আমি ছবি আঁকতে যেতে পারি, মানুষ দেখতে যেতে পারি। আমার ইচ্ছা। সবাইকে কি বাজার সামলাতে হবে? আমি সবসময়ই চাই আমার চিত্র, কবিতা ও অভিনয়ের মাধ্যমে সমাজে একটা বার্তা দিতে। সামলা-সামলি নিয়ে তো অনেক পোস্ট দেখছিলাম, মনে হলো যে একটা জবাব দেওয়া জরুরি। তাই এই কাজটি করা।’
উল্লেখ্য, অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি পেলেও নিজেকে চিত্রশিল্প, কবিতা ও নৃত্য নানান ক্ষেত্রে মেলে ধরেছেন ভাবনা। গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে তিনি একটি পোয়েট্রিক্যাল ফিল্ম উপহার দিয়েছেন। যেখানে কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন ভাবনা।