সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
পরপর দুটি ম্যাচে হার বিতর্কিতভাবে। ভারতের কাছে ৫ রানের হারটিতে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি বিতর্ক। ওই বিতর্কিত বিষয়গুলো না ঘটলে হয়তো ভারতের বিরুদ্ধে জয়ী দলটি হতো বাংলাদেশই। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের শিকার বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের আউটটা কোন যুক্তিতে, কী হিসেবে দিলেন একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন। সাকিব যদি তখন আউট না হতেন, ম্যাচের চিত্র ভিন্নও হতে পারতো।
সে যাই হোক, এখন এসবই ইতিহাস। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগটা এভাবে কেড়ে নেয়ার পর অবশ্যই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে কাটা-ছেঁড়া হবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে, ভিন্ন খবর হলো- আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজিরাও নজর রেখেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ওপর। খবর জাগোনিউজের
আগামী মাসেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আইপিএলের মিনি নিলাম। ওই নিলামে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ঠাঁই পেতে পারেন। আপাতত যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটারকে নিয়ে কিছুটা কাড়াকাড়ি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন ভারতীয় ক্রিকেটমহল। কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা গতকাল এরই মধ্যে তিন ক্রিকেটারের কথা লিখে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এই তিন ক্রিকেটার হলেন তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস এবং সাকিব আল হাসান। গত কয়েকটি আইপিএলে মোস্তাফিজ ছিলেন নিয়মিত, কিন্তু এবার তার প্রতি আগ্রহ না দেখানোরই সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটারের বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করেছে আনন্দবাজার। নিম্নে সেগুলো পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
লিটন দাস: এবারের বিশ্বকাপে খুব ভাল খেলেছেন লিটন। বিশেষ করে ভারতের বিরুদ্ধে তার ইনিংস মুগ্ধ করেছে বিরাট কোহলিকেও। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের সাজঘরে গিয়ে লিটনকে নিজের ব্যাট উপহার দিয়ে এসেছেন কোহলি। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বড় শট খেলার সহজাত দক্ষতা রয়েছে লিটনের। পেসারদের বিরুদ্ধে সামনের পায়ে খেলতে পারেন। উপমহাদেশের উইকেটেও সফল এই ডানহাতি ব্যাটার। টি-টোয়েন্টিতে ৬৩টি ম্যাচে ১৩১৮ রান করেছেন লিটন। স্ট্রাইক রেট ১২৬.৪৮। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটরক্ষকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। অর্থাৎ, দলে অতিরিক্ত উইকেটরক্ষক হিসাবে রাখা যেতে পারে তাকে। এবারের নিলামে তার দিকে নজর রাখতে পারে দলগুলি। তাসকিন আহমেদ: বল হাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন তাসকিন আহমেদ। তার সতীর্থ মোস্তাফিজুর রহমান আইপিএলে খেললেও এবারের বিশ্বকাপে মোস্তাফিজকে ছাপিয়ে গেছেন তাসকিন। তার গতি সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন বড় বড় ব্যাটাররা। বিশ্বকাপে ৮টি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। নতুন বলে উইকেট নেওয়ার দক্ষতার জন্য তার দিকে নজর দিতে পারে আইপিএলের বেশ কিছু দল। ছোট ফরম্যাটের জন্য তাসকিন খুব ভয়ঙ্কর বোলার। কারণ, চার ওভারই একই গতিতে বল করতে পারেন তিনি।
তাছাড়া ব্যাট হাতেও বড় শট খেলতে পারেন তাসকিন। সেটাও নজরে থাকবে দলগুলোর। সাকিব আল হাসান: এবারের বিশ্বকাপ ভাল যায়নি সাকিবের, কিন্তু তার দক্ষতা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। ব্যাট হাতে রান না পেলেও বল হাতে খুব একটা খারাপ খেলেননি তিনি। কয়েক বছরে আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে খেলা সাকিব গতবার দল পাননি। কিন্তু দলের ফাঁক ভরাট করার জন্য তার দিকে তাকাতে পারে ফ্রাঞ্চাইজিগুলি। সাকিবের মতো অলরাউন্ডার যে কোনও দলের অন্যতম প্রধান ভরসা। আগামী নিলামে ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলিয়ে মোট ৯৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলাম যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে। অর্থাৎ, খুব বেশি ক্রিকেটারের দিকে নজর দিতে পারবে না তারা। নিজেদের দু’একটি দুর্বলতা ভরাট করার দিকে নজর দেবে তারা। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই ক্রিকেটাররা কিন্তু ভাল বিকল্প হতে পারেন।