সুপ্রভাত ডেস্ক »
বাংলাদেশের কাছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। আজ সোমবার এ কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, কীভাবে তেল কেনা যায়, তা পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ।
আজ বিদ্যুৎ ভবনে বিপিএমআই আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ খাতে সাইবার নিরাপত্তা-নীতি এবং অপারেশনাল দৃষ্টিকোণ’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমা বিশ্বের অবরোধের মধ্যে চীন এবং ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেলে আমদানি করছে। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে চীন রেকর্ড পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করছে বলে বিশ্ব গণমাধ্যমে জানানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই তথ্য জানালেন।
গত নভেম্বর মাসে জ্বালানি বিভাগ ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা বাড়ায়। এখন কেরোসিন ও ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা ঘিরে সরবরাহ উদ্বেগ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে দফায় দফায় বাড়তে থাকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। ১০০ ডলার ছাড়িয়ে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১৪০ ডলারে উঠে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের কারণে ইউরোপীয় দেশেগুলো রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে পারছে না। এর ফলে বিকল্প উপায়ে অন্য দেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করার ফলে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর উপর বাড়তি চাপ পড়েছে। এর ফলে জ্বালানি তেলের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।