সুপ্রভাত ডেস্ক :
নভেল করোনাভাইরাস আর যাতে না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে জাপান। আজ মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ঘোষণা দিয়েছেন, নতুন করে বাংলাদেশসহ ১১টি দেশের নাগরিকদের জাপানে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে।
আগামীকাল বুধবার থেকে এ সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে এবং পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে। এই ঘোষণার ফলে ওই ১১টি দেশে সর্বশেষ ১৪ দিন অবস্থানকারী যেকোনো বিদেশি নাগরিকদের জাপানে ঢুকতে না দিয়ে ফেরত পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ ছাড়াও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো- ভারত, আফগানিস্তান, আর্জেন্টিনা, এল সালভাদর, ঘানা, গিনি, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তাজিকিস্তান। গত সপ্তাহে এই ১১টি দেশের নাগরিকদের জাপানে ভ্রমণের ব্যাপারে নির্দেশনা চূড়ান্ত করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অবশেষে এটি ঘোষণা আকারে এল।
সব মিলিয়ে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এখন বিশ্বের মোট ১১১টি দেশের নাগরিকরা জাপানে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সবকটি রাষ্ট্র ছাড়াও এশিয়ার চীনসহ অধিকাংশ দেশ রয়েছে এ তালিকায়।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধকল্পে গঠিত সরকারি ট্যাস্ক ফোর্সের জরুরি বৈঠকে বিদেশিদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কথা বলেন আবে। এ সময় তিনি জানান, সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপসহ ভিসা বাতিল করা ও জুনের শেষ পর্যন্ত বিদেশ থেকে আগত জাপানি নাগরিকসহ সবার জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করার বাধ্যবাধকতা থাকবে।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চালুর পর থেকে জাপানে বিদেশী নাগরিকদের যাতায়াত উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে, যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
একটি তথ্য থেকেই এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা মিলতে পারে। জাপান পর্যটন সংস্থার দেয়া তথ্যমতে, এপ্রিল মাসে মাত্র ২ হাজার ৯০০ জন দেশটিতে প্রবেশ করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ কম!
এশিয়ার ধনী দেশটিতে অন্তত ১৪ হাজার বাংলাদেশির বাস। প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে প্রচুরসংখ্যক মানুষ শিক্ষা ভিসায় জাপানে যান। এদের মধ্যে একটি অংশ আবার উচ্চতর ডিগ্রী নিতেই সেখানে গমন করেন। তবে অধিকাংশই সেখানে থিতু হয়ে যান। বাংলাদেশ থেকে ছুটি কাটিয়ে কিংবা নতুন করে যারা জাপানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা এখন বিপাকেই পড়বেন।