নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী :
উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের সন্ধিপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় চাম্বল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
গতকাল ১৯ অক্টোবর ছাত্রীর মা বাদি হয়ে ওই মাদ্রাসার হাফেজ মোজাম্মেল হক (৫৫) এর বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গত ১০ দিনে অন্তত ৪ বার ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই ছাত্রীকে প্রতিবার ধর্ষণ শেষে খাবার খেতে ধর্ষক হাফেজ ২ টাকা করে দিত বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই হাফেজ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
বাঁশখালী থানা সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল সন্ধিপাড়ায় এক গ্রিস প্রবাসী এলাকার শিশুদের কোরআন শিক্ষার জন্য ফোরকানিয়া মাদ্রাসা স্থাপন করেন। ওই মাদ্রাসায় গত ১০ বছর ধরে হাফেজ হিসেবে দায়িত্বরত স্থানীয় মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র হাফেজ মোজাম্মেল হক (৫৫)। তার ৩ ছেলে, ২ মেয়ে রয়েছে।
করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় স্থানীয় স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরাও বর্তমানে ওই মাদ্রাসায় কোরআন শরিফ শিক্ষা করতে যায়। এতে দৈনিক ৫০/৫৫ জন ছাত্র-ছাত্রীকে সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮ পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।
সকাল ৮টায় ছুটি শেষে মাদ্রাসায় ঝাড়– দেবার কথা বলে হাফেজ মোজাম্মেল হক দিনমজুরের কন্যা ১১ বছর বয়সের স্কুলছাত্রীকে মাদ্রাসায় কিছুক্ষণ থাকতে বলে। মাদ্রাসায় লোকজনের অনুপস্থিতিতে ফুসলিয়ে এক পর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয় এবং এ ঘটনা গোপন রাখতে নানা ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে দোকান থেকে খাবার খেতে ২ টাকা ধরিয়ে দেয়। এভাবে অন্তত ৪ দিন ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এ অবস্থায় ছাত্রীর হাঁটতে অসুবিধার কথা মা জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে হাফেজ মোজাম্মেলের ধর্ষণের কথা বলে। এর পর ধর্ষিতার মা-বাবা গতকাল সোমবার বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা করার খবর পেয়ে হাফেজ মোজাম্মেল হক এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
বাঁশখালীর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘মামলা শেষে ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষককে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।’