নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদী দখল ও প্যারাবন ধ্বংসের ঘটনায় কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার রাতে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তবে মামলায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলার আসামিরা হলেন মহেশখালীর চরপাড়ার মৃত জালাল আহমেদের পুত্র মো. ইউসুফ, কক্সবাজার পৌরসভার টেকপাড়ার মাহবুবুল আলম মুকুল এর পুত্র ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান, বদরমোকাম এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের পুত্র ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়, মহেশখালী কুতুবজোমের মেহেদিয়াপাড়ার মৌলভী কবির আহমদের পুত্র রুকন উদ্দিন, নেত্রকোনার মৌগাতি চচুয়ার মারাদিঘীর ইদ্দিকুর রহমানের পুত্র ওমর ফারুক, কক্সবাজার পৌরসভার নুরপাড়ার মুবিনুল ইসলামের পুত্র তায়েফ আহমেদ ও তাইসাদ সাব্বির, গাড়ির মাঠ এলাকার টিপু, ইকরা রিয়েল এস্টেট হাউজিং এর মালিক আমিনুল ইসলাম আমান, খুরুশকুল মনুপাড়ার মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ বার্মায়া সেলিম, কক্সবাজার শহরের হোটেল তাজসেবার মৃত হাজি জমির হোসেনের পুত্র মাহবুবুর রহমান, নুরুল ইসলামের পুত্র জিসান উদ্দিন, রুমালিয়ারছড়ার আবদুল মোনাফের পুত্র ইসমাইল, মধ্যম বাহারছড়ার শেখ জসিমের পুত্র মো. রানা, লালদীঘির পাড় এলাকার মফিজুর রহমানের পুত্র ঝুমা এবং মহেশখালীর শাপলাপুরের দীনেশপুর এলাকার মো. নাসিমের পুত্র ইকবাল হাসান। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু জানান, শুধু মামলা করে দায়িত্ব শেষ করলে বাঁকখালী রক্ষা করা যাবে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে দখল উচ্ছেদ করে নদী পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা বলেন, মামলায় কেউ বাদ পড়ে থাকলে পরবর্তীতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়া বাঁকখালীতে পরিবেশ ধ্বংস করলে আরও মামলা দায়ের করা হবে।