সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত এইচ ই ফাম ভিয়েত চিয়েনকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুপ্রতীম দেশ এবং এ দুই জাতি মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। দুই দেশই অনেক প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে আজকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।
মেয়র নগরীতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভিয়েতনামের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
গতকাল রোববার সকালে টাইগারপাস নগর ভবনে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র আরও বলেন দুই দেশেই কৃষিপ্রধান দেশ, অন্যদিকে দু’দেশে পোশাকশিল্পের অগ্রগতি অনেক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে যে রকম আন্তরিক ছিলেন ঠিক তেমনি ভিয়েতনামের হো চি মিন আন্তরিক ছিলেন বলেই ভিয়েতনাম আজ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
এসময় ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বিজনেস ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্পোট সেন্টারের জেনারেল ডাইরেক্টর ট্রং ডু, ডেপুটি জেনারেল ডাইরেক্টর মিস. এলিজা, সন হা মিনারেল জয়েন্ট স্টক কোম্পানির ট্রান দিন থানাহ, বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. মঞ্জুর কাদের, সৈয়দ এম. রহমান, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ওশান এমিউজমেন্ট পার্ক নির্মাণের বিষয়টি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবগত করে বলেন, এই পার্কটিতে বিনিয়োগে ভিয়েতনাম এগিয়ে আসলে পর্যটন ক্ষেত্রে বিশাল খাত তৈরি হবে এবং উভয়ই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবে।
মেয়রের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত বলেন, চট্টগ্রাম ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-সাহিত্য সবকিছুতে সমৃদ্ধ। আজকের এই চট্টগ্রাম বিশ্বকে অনেকাংশে প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ বর্তমান সরকার যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে বিশেষ করে বে টার্মিনাল, গভীর সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলীর তলদেশে ট্যানেল, মিয়ানমার হয়ে চীনের কুম্বিং শহর পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক বিশেষ জোন এগুলো বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম বিশ্ব অর্থনীতির একটি হাব হিসেবে পরিণত হবে- এতে কোন সন্দেহ নেই। ভিয়েতনাম সব সময় উদ্ভাবনী বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে পর্যটন শিল্পে ভিয়েতনামের যে অভিজ্ঞতা আছে তা চট্টগ্রাম নগরীতে কাজে লাগাতে আমরা আগ্রহী। অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিনিয়োগের ব্যাপারে আমরা উদ্যোগী হতে চাই। এই ব্যাপারে চসিক মেয়রের সাথে যে সব আলোচনা হয়েছে তার একটি ইতিবাচক বার্তা আমি আমাদের সরকারের কাছে পৌঁছে দেব। তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে মেয়রের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে তার সরকারকে অবগত করবেন বলে জানান। বিজ্ঞপ্তি