নিজস্ব প্রতিবেদক »
‘বঙ্গবন্ধু কোনো দলীয় নেতা নন, তিনি জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের ওপর হামলা প্রকারান্তরে মুক্তিযুদ্ধের ওপর হামলা, তার চেতনার ওপর হামলা, স্বাধীনতার ওপরে হামলা। কাজেই এ ঘটনায় যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’
জামালখানে বিএনপির সমাবেশের দিন ভাঙচুর হওয়া বঙ্গবন্ধুর স্থিরচিত্র সম্বলিত ট্যাম্পার্ড গ্লাস ম্যুরাল পরির্দশনে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক।
গতকাল বিকালে জামালখানের ভাঙচুর হওয়া ম্যুরাল পরির্দশনে আসেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এবং জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপি এবং অন্যান্য যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তারা আজ পর্যন্ত স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। তারা সুযোগ পেলেই পাকিস্তানের গুণ গায়। বিএনপির মহাসচিব তো কিছুদিন আগে বলেছেন পাকিস্তান আমলে এরচে’ ভালো ছিলেন, কিভাবে ভালো ছিলেন এটা আমাদের জানা নাই। অর্থাৎ তারা মনে প্রাণে এখনও পাকিস্তানকে ধারণ করে। ম্যুরাল ভাঙচুর তারই বহিঃপ্রকাশ।’
গত ১৪ জুন চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়িতে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ চলাকালে জামালখান মোড়ে সড়কের পাশে দেয়ালজুড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়। ম্যুরালে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর স্থিরচিত্র ধারাবাহিকভাবে সাজানো ছিলো। জামালখানের সৌর্যন্দবর্ধনের অংশ হিসেবে স্থাপন করা করা হয়েছিলো এসব ম্যুরাল।
বিএনপির সমাবেশ স্থানের এক কিলোমিটার দূরে এ ভাঙচুরের জন্য একে অপরকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এবং নগরের কোতোয়ালী, চকবাজার, বাকলিয়া, চান্দগাঁও ও মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। গ্রেফতাররা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী।