বিভাগীয় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমাবেশ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
এ উপলক্ষে গতকাল ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহারিয়ার কবির, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নায়েবুল ইসলাম ফটিকসহ জেলার সরকারি-আধা সরকারি সকল দপ্তরের কর্মকর্তা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে স্তব্ধ করতে এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার হীন উদ্দেশ্যে লিপ্ত রয়েছে।
বক্তারা বলেন, মৌলবাদী গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় কুষ্টিয়া পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়ে তার অংশবিশেষ ভেঙে ফেলা হয়েছে। মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর এ ঔদ্ধত্য ও অপতৎপরতা জাতির জনকের নেতৃত্বে মুক্ত এ স্বাধীন বাংলাদেশে সহ্য করা হবে না।
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আজও দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে। তারা জাতির জনকের ভাস্কর্যের ওপর কেবল আঘাত করেনি, তারা বাঙ্গালি জাতির হৃদয়ে আঘাত করেছে। তারা বাঙালি নয়। তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা উচিত বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
সভায় বক্তারা বলেন, ভাস্কর্য মানুষের নান্দনিকতা বোধ প্রকাশের এক চিরন্তন মাধ্যম যা মানব সভ্যতার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষের প্রতীকস্বরূপ। তাই ভাস্কর্যকে মূর্তির সাথে এক করে বক্তব্য প্রদান বাংলাদেশের উদার, অসাম্প্রদায়িক ও গণতন্ত্রমনা আপামর ধর্মপ্রাণ জনগণকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়ার উদ্দেশে এক শ্রেণীর ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হীন মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ। জাতির জনকের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের ক্ষতি সাধনকারী ও ভাস্কর্য বিরোধিতাকারীদের সাথে এ দেশের আপামর ধর্মপ্রাণ মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের প্রতিহত করতে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ বদ্ধপরিকর। বিজ্ঞপ্তি