বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক বলেছেন, যুগ যুগ ধরে হতভাগা ফোরামের যোদ্ধারা ক্রেতার কথা চিন্তা করে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা নিজের ব্যবসার কথা চিন্তা না করেই শুধু পোশাকশিল্পের মালিকদের কথাই ভাবছেন। আর আমাদের প্রতিপক্ষ বলে যাচ্ছেন আমরা নাকি ক্রেতার জায়গাটাকে এড়িয়ে যাচ্ছি। টাকা না দিয়ে ক্রেতারা কিভাবে বাংলাদেশ থেকে যায় সেটি বলার সাহসও ওনাদের নেই। সাহস না থাকলে নেতৃত্ব দেওয়া যায় না। আমরা সে সাহস দেখিয়েছি। ইশতেহারে ওনারা বলছেন কাজ করবেন, আর আমরা কাজ করে তারপর কথা বলি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা তো আমি সারাক্ষণ মানতে থাকি, কারণ তিনি পাশে না থাকলে এই শত বৈরিতার মাঝে আমি দু’বছর কখনও কাটাতে পারতাম না। করোনার এই সময় আমি যুদ্ধ করছি গার্মেন্টস সেক্টরের জন্য।
২৫ মার্চ রাতে চট্টগ্রামের র্যাডিসন ব্লুতে ফোরামের পরিচিতি সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ড. রুবানা হক আরও বলেন, আগামী ৪ এপ্রিল আমাদের আনন্দের দিন, উৎসবের দিন। এদিন বুকে সাহস নিয়ে সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন। শেষে চাটগাঁয় দাঁড়িয়ে একটি কথাই বলছি- অনরা ফোরামত ভোট দিওন (আপনারা ফোরামে ভোট দিবেন)। ফোরাম সকল সংকটে আপনাদের পাশে থাকবে।
ফোরাম মনোনীত প্যানেল লিডার এবিএম শামসুদ্দিন-এমডিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর সমর্থনে এই পরিচিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরাম সভাপতি ও সাবেক বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ। রুবানা হক নিজেও এই প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন।
সভায় বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এমএ সালাম ফোরাম চট্টগ্রামের সব প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন, তারা হলেন এমডিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মো. সাইফ উল্লাহ, মির্জা আকবর আলী চৌধুরী, মো. দিদারুল আলম, রিয়াজ ওয়েজ ও খন্দকার বেলায়েত হোসেন। এ সময় ফোরাম চট্টগ্রামের সেক্রেটারি এমএ সালাম বলেন, আমরা সবাই কাজ করি আরএমজি’র উন্নতির জন্য বা আরএমজির মালিকদের উন্নতির জন্য। আমি মনে করি বিজিএমইএ’র যতগুলো প্রেসিডেন্ট এসেছেন সবচেয়ে বেশি কঠিন সময় মোকাবেলা করেছেন ড. রুবানা হক।
তারা দেখেছেন রুবানা হক কিভাবে সাহস দেখিয়েছেন এবং আমাদের সহযোগিতা করেছেন। না হয় আমরা এই জায়গায় আসতে পারতাম না। এখন বিজিএমই’র নির্বাচন আসছে, আমাদের সবারই উচিত ড. রুবানা হক মনোনীত প্যানেলকে ভোটদিয়ে আবারও কাজ করার সুযোগ দেওয়া। সভায় ঢাকা অঞ্চলের সব প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন ড. রুবানা হক।
তারা হলেন প্যানেল লিডার হান্নান ফ্যাশন্সের এবিএম সামসুদ্দিন, এজে ফ্যাশনসের আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আমিতি ডিজাইনের শিহাবুদৌজা চৌধুরী, অনন্ত গার্মেন্টেস’র এনামুল হক খান বাবলু, দেশ গার্মেন্টের ভিদিয়া অমৃত খান, দিগন্ত সোয়েটারের কামাল উদ্দিন, ড্রেসম্যান গার্মেন্ট মাশিদ রুম্মান আবদুল্লাহ, দুলাল ব্রাদার্সের এমএ রহিম ফিরোজ, এভিটেক্স ড্রেস শার্ট শাহ রায়াদ চৌধুরী, ফেব্রিকা নিট কমপোজিটের মিজানুর রহমান, ফ্যাশন ডটকমের খান মনিরুল আলম, ফেন্ডসস্ট্যাইল ওয়্যারের এএম মাহমুদুর রহমান, ইমপ্রেস নিউটেক্স কমপোজিট টেক্সটাইলের নাফিস উদ দৌলা, কেইলক নিউএজ বাংলাদেশের আসিফ ইব্রাহিম, ম্যাগপাই নিটওয়্যারের মজুমদার আরিফুর রহমান, মানামি ফ্যাশন্সের তাহসিন উদ্দিন খান, এমজি নিট ফ্লেয়ারের নাভিদুল হক, নেক্সাস সোয়েটারের রশীদ আহমেদ হোসাইনি, ওডিশা ফ্যাশন্সের ইকবাল হামিদ কোরাইশী আদনান, রাইজিং অ্যাপারেলসের মাহমুদ হাসান খান বাবু, সফটটেক্স সোয়েটারের রেজওয়ান সেলিম, সুরমা গার্মেন্টের ফয়সাল সামাদ, ট্রাউজার লাইনের রানা লায়লা হাফিজ, ওয়েগা ফ্যাশন সুয়েটারের মেজবাহ উদ্দিন আলী ও জিসাস ফ্যাশন্সের নজরুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তি