নিজস্ব প্রতিবেদক »
আবারও বাড়ছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। সবজির বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। আদা, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ডিম, আলু, চিনি ও ভোজ্যতেল ইত্যাদি দাম বেড়ে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় কমতির দিকে মাছের দাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর রেয়াজউদ্দিন ও বকসিরহাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১৬৫ টাকা থেকে ১৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে কেজি বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা।
আর সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকার চেয়েও বেশি। বাজারে সোনালি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৩১০ থেকে ৩১৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকা । তাছাড়া বাড়তির দিকে লেয়ার (লাল) মুরগির ডিমও। বাজারে ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।
মুরগি ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আসন্ন পবিত্র আশুরাকে কেন্দ্র করে মুরগি ফার্ম মালিকরা সিন্ডিকেট করে আবারো দাম বাড়াচ্ছে। তাই তারা পাইকারদের কাছে এখন মুরগি বিক্রি করছে না। ফলে বাড়তির দিকে মুরগির বাজার।’
এদিকে কিছুটা কমেছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। খাসির মাংস ৯৫০-১০০০ টাকা।
বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছে দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৮০ টাকা।
এদিকে কয়েকদিন পর সমুদ্রের মাছের সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে- আশাবাদী মাছ ব্যবসায়ীরা।
বাজারে মাঝারি সাইজের প্রতি কেজি রুই, কাতলাসহ কার্প জাতীয় মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা। আর চাষের পাঙ্গাস ও নাইলোটিকা বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়। চাষের শিং ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, কই ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা বিক্রি হয়েছে। সমুদ্রের রূপচাঁন্দা ৩২০ টাকা থেকে ৫২০ টাকা, পোয়া ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা। এদিকে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা।
বকসির হাটের মাছ ব্যবসায়ী নুরুন্নবী বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর সমুদ্রের মাছ সরবরাহ হতে আরো ২-৩ দিন লাগবে। তবে কিছু জেলে এখন থেকে বাজারে মাছ আনছে। সরবরাহ বাড়লে আরো দাম কমবে।’
এদিকে সবজির দামও বাড়তি। বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। ফুলকপি ১৭০ টাকা, বাধাঁকপি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, গাজর ৬০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, চিচিঙা ৫০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা ও পেঁপে ৬০ টাকা। তাছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে আদা, রসুন, পেঁয়াজের দাম চড়া বাজারে স্থিতিতে রয়েছে। বাজারে আদা ২০০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা ও রসুন ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রেয়াজউদ্দিন বাজারে আসা একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক আবদুল আলিম বলেন, ‘আগামীকাল (শুক্রবার) বাসায় মেহমান আসবেন। তাই রোস্টের মোরগি কিনতে এসেছি। ব্যবসায়ীরা দেশি মুরগির পাশাপশি সোনালি মুরগির দাম বাড়তি নিচ্ছেন। যে রোস্টের মুরগির কেজি ৫৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত তা এখানে বিক্রি করছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা।’