সমসাময়িক আলোচিত বিষয় নিয়ে সুপ্রভাতের নতুন আয়োজন – ‘সুপ্রভাত জানতে চাই’। বিশিষ্টজন যারা নানা দায়িত্বে আছেন মূলত পাঠকের হয়ে তাঁদের কাছে জানতে চাওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।
সুপ্রভাতের ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিলিজ হওয়ার পাশাপাশি সুপ্রিয় পাঠকদের জন্যও তুলে ধরা হবে আমাদের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক এ পরিবেশনা।
এ পর্যায়ে আজ থাকছে সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাক্ষাৎকার। এতে নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করার সাম্প্রতিক কার্যক্রমের সাফল্য-ব্যর্থতা এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার নানা বিষয় নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
সুপ্রভাত ডিজিটালের ‘সুপ্রভাত জানতে চাই’ অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন-
মুক্তিযুদ্ধ করেছি, সামান্য ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পারবো না!
নিউমার্কেটে আর হকার বসার প্রশ্নই ওঠে না, অবৈধ ফুটপাত দখলে প্রভাবশালীদের ইন্ধন বরদাস্ত করবো না ।
ফুটপাত পথচারীদের জন্য, অবৈধ দখলদারদের জন্য নয় । এই ফুটপাত দখলমুক্ত করে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করাই আমার নৈতিক দায়িত্ব।
রাস্তা দখল করে ব্যবসা পরিচালনাকারীরা প্রকৃত হকার নয় উল্লেখ করে মেয়রর বলেন, ওরা সংঘবদ্ধ চক্রের নিয়োগকৃত লোক মাত্র। এই অবৈধ হকারদের পেছনে রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ইন্ধন আছে স্বীকার করে লক্ষ্যে অবিচল থাকার কথা বলেন মেয়র। মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, পাকিস্থানিরা অনেক শক্তিধর জেনেও মুক্তিযুদ্ধ করেছি, আর এখন অবৈধ হকার উচ্ছেদ করতে পারবো না!
পুরো সাক্ষাৎকার:
সুপ্রভাত : আপনি নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করার মতো একটি কঠিন কাজ করতে যাচ্ছেন, নাগরিকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এটি। এ কাজটি আপনার আগে যাঁরা মেয়র হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তাঁরাও করেছেন, কিন্তু তাঁরা যে সফল হননি তা বলাই বাহুল্য। আপনি কি মনে করেন আপনি সফল হবেন এক্ষেত্রে?
রেজাউল : অবশ্যই হবো। কারণ, জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছেন-জনগণের অধিকার সংরক্ষণ করার জন্য। ফুটপাত পথচারীদের। ফুটপাত কাউকে অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা করার জন্যে নয়। এখানে ছাত্র-ছাত্রী, মহিলা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, সকল শ্রেণির মানুষ নিরাপদে নিরুপদ্রপে হাঁটাচলা করবে। এখানে যদি কেউ তা বাধাগ্রস্থ করে সেক্ষেত্রে আমার নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে সেই ফুটপাত দখলমুক্ত করে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা।
সুপ্রভাত : বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে আমরা জেনেছি, ফুটপাত বাণিজ্যের সঙ্গে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয় এবং এর সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা জড়িত। এখন যেহেতু আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় সেহেতু সরকারি দলের অনেক নেতা জড়িত থাকার অভিযোগ যেমন রয়েছে তেমনি আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর অনেকেসহ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ক্ষমতাবানেরাও এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ মেলে। আপনি কি মনে করেন এতগুলো প্রতিকূল শক্তিকে প্রতিহত করে আপনি সফল হতে পারবেন ?
রেজাউল : আমরা অনেক তরুণ বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি। ১৮-১৯ বছর বয়সে, তখন কলেজে পড়তাম। বঙ্গবন্ধুু ডাক দিয়েছেন, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। তখন শুনতাম পাকিস্তানিরা খুবই ভয়ংকর, দুধর্ষ, পৃথিবীর সেরা সেনাবাহিনী। আমরা ছোট, আমরা তরুণ, আমরা সামান্য কয়েক মাসের ট্রেনিং নিয়ে ওদের সঙ্গে যুদ্ধ করবো। এটা পেরেছি। কেনো পেরেছি, কারণ আমাদের মনোবল ছিলো, সততা ছিলো, দৃঢ়তা ছিলো, নিষ্ঠা ছিলো। আমি মনে করি, জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে মেয়র বানিয়েছে। এখানে কে প্রভাবশালী, কে প্রভাবশালী নয়, কে বড় নেতা, কে ছোট নেতা তাঁর প্রভাব বিবেচ্য নয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট হলে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সবার মতামত নিয়েছিলাম এবং আমি নিজেও বক্তব্য দিয়েছিলাম। আমি বলেছি, কোনো প্রভাব-প্রতিপত্তি কোনোসময় আমাকে প্রভাবিত করতে পারবে না। কারণ আমি একটা কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি) নিয়ে এখানে বসেছি। জনগণ তাদের অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে মেয়র পদে বসিয়েছে। কাজেই এ প্রত্যাশা যদি আমি পূরণ করতে না পারি তাহলে মানুষ আমাকে ধিক্কার দেবে।
আজকে ফুটপাত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আপনাকে যদি আমি পাল্টা প্রশ্ন করি-কারা হকার ? ’৭২ সাল থেকে তো আমরা ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, ছাত্রনেতা ছিলাম আমি। জহুর হকার মার্কেটে হকার পুনর্বাসন করা হয়েছে, কয়জন হকার আছে ওখানে। সিডিএ হকার মার্কেট করা হয়েছে, কয়জন হকার আছে সেখানে। আমি মনে করি, পাকিস্তান আমলেও হকার ছিলো। তখন চুড়ি, কাচের জিনিস কাচের বাক্সে নিয়ে হকারেরা হেঁটে হেঁটে বিক্রি করতো। হকার সব দেশেই আছে। হকার তার পণ্য হাতে, কাঁধে নিয়ে বিক্রি করবে, মাথায় নিয়ে বিক্রি করবে। কিন্তু কেউ ফুটপাত দখল করে, সামিয়ানা টাঙিয়ে, টিন দিয়ে ঘেরাও করে, জনগণের হাঁটার রাস্তা বন্ধ করে সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করবে এরা হকার না।
সুপ্রভাত : আমরা দেখছি, আপনি ফুটপাত দখলমুক্ত করার পর সেগুলোর অনেকটাই আবার দখল হয়ে গেছে, তারা আবার বসে গেছে। আপনি কি মনে করেন, চট্টগ্রাম শহরে হকারের নামে যারা রাস্তা দখল করেছে তাদের ইন্ধন দিচ্ছে কেউ?
রেজাউল : অবশ্যই ইন্ধন দিচ্ছে। সব সময়ে সব যুগে কিছুৃ লোক থাকে যারা ভালো কাজের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আমি মনে করি, এখানে যে হকারের কথা বলছেন, এরা হকার না। ভ্যানগাড়ি একটা নিয়ে বসিয়ে দিযে বলা হয়, এই তুই বিক্রি করবি। সকাল থেকে এরা বসে। কিন্তু সারাদিনে এদের রোজগার কতো হয়। আমি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সাত-আট বছর আগে আমি বহদ্দারহাট থেকে হকার উচ্ছেদ করেছি। পরে তাদের ছেলেমেয়েরা আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করে। আমি এক হকারকে জিজ্ঞাসা করি তার দৈনিক রোজগার সম্পর্কে, তখন তার স্ত্রী জানায়-দুই কেজি চাল কিনে আনার কথা বলা হলে দেড় কেজি বা এক কেজি কিনে আনে তার স্বামী। কারণ সে দিনে সাত-আটশো টাকা কামায়। এ সময়ে ওই হকার জানায়, সে আসলে সাত-আটশো টাকা পায় না। বিভিন্ন জনকে দিয়ে তার হাতে থাকে একশো থেকে দেড়শো টাকা। নিউমার্কেট এলাকায় যারা ভ্যানগাড়ি বসায় এরা কিন্তু সওদাগর, হকার না। এরা গরিব কিছু লোককে পণ্য দিয়ে বসিয়ে দেয়, ওরা সারাদিন বিক্রি করে শ-দেড়শো টাকা পায় আর মূল অ্যামাউন্টটা (টাকা) ওরা নিয়ে যায়।
সুপ্রভাত : আপনার পক্ষে কি এ শক্তিশালী চক্রের সঙ্গে পেরে ওঠা সম্ভব ?
রেজাউল : অবশ্যই সম্ভব। আমি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত, যে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। ফুটপাত মুক্ত থাকবে। আমি এজন্যে বলেছি, যারা সত্যিকার হকার তাদেরকে আইডেন্টিফাই (চিহ্নিত) করে আমি হলি ডে মাকেট (ছুটির দিনের বাজার) করবো। যেমন: বৃহস্পতিবার থেকে সমস্ত অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। তাই এদিন বিকেল পাঁচটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত এ মার্কেট চালু রাখবো। পরদিন শুক্রবার সারাদিন চালু থাকবে। শনিবার চলবে রাত বারোটা পর্যন্ত। এরপর আর না। আমি হলি ডে মার্কেট চালু করার জন্যে মাঠ অথবা খালি জায়গার ব্যবস্থা করছি। ইতিমধ্যে আমার এ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। তবে এসব কিছু করা হবে প্রকৃত হকারদের জন্যে, চাঁদাবাজদের জন্যে নয়। যারা হকারের নাম দিয়ে কোটি কোটি টাকা রোজগার করছে তাদের জন্যে নয়।
সুপ্রভাত : পৃথিবীর বিভিন্ন নগরে, বড় বড় শহরগুলোতে দেখা যায় সেখানে ফুটপাতে বেচাকেনা হয়। আবার কোথাও ফুটপাতের খাবারের অনেক খ্যাতি রয়েছে। সেটা অবশ্য একটা নিয়মের মধ্যে, একটা নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট জায়গায় চলে। সে রকম কোনো কিছু করার ব্যাপারে আপনার কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না।
রেজাউল : পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় আমি গিয়েছি। যেখানে জনসমাগম হয় না সেসব জায়গাগুলোতে হকার বসতে দেয়া হয়। পুৃরো এলাকা জুড়ে নয়। যেমন, আমাদের নিউমার্কেট এলাকায় ছিনতাই, রাহাজানি, হেনস্থা হওয়ার ঘটনার কথা শোনা যায়। সেখানে কেউ একটা জিনিস কিনতে গেলে তা কিনতে না চাইলেও কিনতে বাধ্য করা হয়। এভাবে হেনস্থা হয়ে ফিরে আসার মতো অনেক ঘটনার নজির রয়েছে। এখানে একটা সংঘবদ্ধ চক্র হকারের নাম দিয়ে এসব ব্যবসা করে। ওই এলাকায় হকার বসানোর প্রশ্নই আসে না। তবে আমরা কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় ফুটপাতে বসার ব্যবস্থা করে দেবো।
সুপ্রভাত : আমরা একটা সময়ে দেখছি, এ শহরে সকাল বেলায় কিছু বাজার বসতো। কিন্তু একটা পর্যায়ে দেখা গেলো, এসব বাজার ভেঙে যাচ্ছে। আর সেখানে বাসাবাড়ির সামনে, অলিগলিতে বিভিন্ন বাজার গড়ে উঠতে শুরু করে। ঠেলাগাড়িতে করে সবজি, মাছ-মাংস সব বিক্রি হচ্ছে। ফলে আমাদের পুরো শহরটাই এখন একটা বাজারে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আধুনিক নগরীতে এ দৃশ্য তো কল্পনা করা যায় না। আপনার একার পক্ষে এতো বিশাল শহরের তদারকি সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রে এসব দিকে নজর দেয়ার মতো আপনার জনবল রয়েছে কি না, আবার জনবল থাকলেও এ কাজে তাদের কর্মক্ষমতা বা সবার সদিচ্ছা রয়েছে কি না?
রেজাউল : এভাবে হঠাৎ করে হয়তো পুরো শহরকে দখলমুক্ত করা সম্ভব হবে না। ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্যে প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। শহরে এমনো কোনো গলি অথবা বাই লেন রয়েছে যেখানে দুই পাশে ভ্যান গাড়ি বসে যাওয়ায় রিকশাও চলাচল করতে পারে না। এসব ক্ষেত্রেও দেখা যায়, এখানে ভ্যানগাড়ি নিয়ে ব্যবসা হচ্ছে। আসলে এরা কেউ প্রকৃত হকার নয়। এখানে একজন জমিদার থাকে, যিনি চার-পাঁচটা ভ্যানগাড়ির মালিক। এসব ভ্যান গাড়ি বসিয়ে দিয়ে একজন লোককে দিয়ে ব্যবসা করছে। যে বিক্রি করছে তাকে হয়তো কিছু বেতন দেয়া হয়, কিন্তু মুল টাকাটা চলে যায় ওই ব্যবসায়ীর হাতে। এভাবে পুরো শহর জুড়ে এ ধরনের ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু কুচক্রীমহল, কিছু সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ এ ব্যবসা করছে। এখানে প্রকৃত হকার এরা নয়, এরা হচ্ছে কিছু অভাবি মানুষ, বেতনধারী মানুষ বলা যায়।
সুপ্রভাত : নাগরিকদের শহরে চলাচলে আর একটি প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ব্যস্ততম সময়ে রাস্তা পারাপার হওয়াটা। আপনি জিইসি মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করছেন চারমুখি। এজন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই। এর পাশাপাশি লালখান বাজার মোড় সড়ক পাড়াপার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানেও একটি ফুটওভার ব্রিজ করার পরিকল্পনা আছে কি?
রেজাউল : অবশ্যই। লালখান বাজারে ফুটওভার ব্রিজ করার পরিকল্পনা ছিলো। ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) করেছি। কিন্তু সেটি এখন সিডিএ কর্তৃপক্ষ যারা এলিভেটেড এক্স্রপ্রেস করছে তারা করে দেবে। এছাড়া জিইসি, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, ইপিজেড এসব এলাকায় ফুটওভার ব্রিজ করা হয়েছে। আমরা কিছু আন্ডারপাস করার পরিকল্পনা নিয়েছি। কারণ নিউমার্কেট এলাকায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করাটা ঝুঁকিবহুল। তাই সেখানে আমরা আন্ডারপাস করার পরিকল্পনা নিয়েছি। আন্ডারপাস এলাকায় আমরা ছোটো ছোটো দোকানপাট গড়ে তোলার কথা ভাবছি। তাহলেও হকারদের বসার একটা জায়গা তৈরি হবে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে ফিজিবিল্যাটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) করার এবং কনসালটেন্ট নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। বহদ্দারহাট এলাকায় আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আন্ডারপাসের কাজ শুরু হয়ে যাবে। এগুলো আমাদের সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ফান্ডে (তহবিল) করবো। সাগরিকাতেও আন্ডারপাস করার চিস্তাভাবনা আছে। নগরীতে যে সমস্ত ব্যস্ততম এলাকা আছে সেখানে আন্ডারপাস করার চিস্তাভাবনা আছে।
নগরীতে ৩৮টি ফুটওভার ব্রিজ করার পারমিশন (অনুমোদন) নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি ফিজিবিলিটি স্টাডির পাশাপাশি ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা করছি কোথায় কোথায় ফুটওভার ব্রিজ করার প্রয়োজন সে বিষয়ে। কারণ পরে যাতে এগুলো অকেজো হয়ে না যায়।
সুপ্রভাত : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রেজাউল : আপনাকেও ধন্যবাদ।