সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
মাহমুদউল্লাহদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় সবচেয়ে বড় কারণ ফিল্ডিং ব্যর্থতা। পুরো বিশ্বকাপে টানা ক্যাচ মিসের মহড়ায় ক্রিকেটারদের দায়বদ্ধতার পাশাপাশি ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। অবশেষে সেই ফিল্ডিং কোচকে বিদায় করে দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ (শনিবার) সংস্থাটির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
রায়ান কুকের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। তবে পাকিস্তান সিরিজ থেকেই তাকে রাখছে না বিসিবি। এই দক্ষিণ আফ্রিকানের জায়গায় স্থানীয় কোচ দিয়েই পাকিস্তান সিরিজ চালিয়ে নেওয়া হবে। কুকের চুক্তির বিষয়ে আকরাম বলেছেন, ‘কুককে আমরা পাচ্ছি না। ওর জায়গায় নতুন একজন স্থানীয় কোচ দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি কে হবেন, সেটি আমরা ১৬ নভেম্বর ফাইনাল করবো। কুকের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে আছে। ওর সঙ্গে আমরা চুক্তি নবায়ন করছি না। এজন্য ও এই সিরিজে থাকছে না।’
কুককে বিদায় দেওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক, ‘স্থানীয় কোচের (ফিল্ডিং) কিছু নাম আমাদের হাতে আছে। পাশাপাশি আমরা উঁচুমানের ফিল্ডিং কোচকেও দেখছি এবং আশা করছি মাসখানেকের মধ্যে পেয়ে যাবো।’
বিশ্বকাপে প্রায় প্রতি ম্যাচেই মিস ফিল্ডিং করেছে বাংলাদেশ। প্রাথমিক রাউন্ডে ছন্নছাড়া ফিল্ডিংয়ে স্কটিশদের কাছে হারতে হয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় স্কোর করেও দুটি ক্যাচ ফেলার কারণে হারতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ক্যাচ মিসে ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন থেকেই ছিটকে যায়!
২০১৮ সালের জুলাইয়ে গ্যারি কারস্টেনের পরামর্শে নিয়োগ দেওয়া হয় কুককে। তার তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। কেপ টাউনে কারস্টেন ক্রিকেট একাডেমির প্রধান কোচ ও পারফরম্যান্স ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। গত সাড়ে তিন বছরে দুই দফা কোচিং স্টাফ পরিবর্তন হলেও কুক টিকে ছিলেন।