নিজস্ব প্রতিবেদক »
ডেঙ্গুর প্রকোপ কাজে লাগিয়ে চড়া দামে ডাব বিক্রি করছে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ফার্মেসি মালিকরাও। লাগামহীন দাম ঠেকাতে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে এক ফার্মেসি মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন সংস্থাটি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক মো. ফয়েজ উল্ল্যাহ।
জানা যায়, অনান্য সময়ে ফুটপাতে ডাব বিক্রি করেন ভ্রাম্যমাণ ডাব ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ডেঙ্গুর প্রকোপে পানীয় হিসেবে ডাবের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যায় আক্রান্ত রোগীদের। যার ফলে কোন কোন ধরনের নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করেই চড়া দামে ডাব বিক্রি করছে খোদ ফার্মেসি মালিকরাও।
আরও জানা যায়, হাসপাতালের সামনের ফার্মেসিগুলোতে প্রতি পিস ডাব বিক্রি করা হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকার উপরে। যা কেনা হয়েছে ৬০ টাকায়। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাসপাতালে আসা ডেঙ্গুর রোগীদের স্বজনরা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার বলেন, ‘ডাবের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় করা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে হৃদয়ের ডাবের দোকানকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ডাবের মূল্যতালিকা ও ভাউচার সংরক্ষণ না করায় ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রয়ের জন্য রাইসা মেডিকেল হল নামের এক ফার্মেসি মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
একই অভিযানে চকবাজারের ফুলকলি সুইটসকে আমদানিবিহীন পণ্য বিক্রয়, মোড়কীকরণ বিধি লঙ্ঘন করায় ৪ হাজার টাকাসহ তিন প্রতিষ্ঠানে মোট ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. ফয়েজ উল্ল্যহ বলেন, ‘ফার্মেসি মালিকদের ডাব বিক্রির কথা নয়। অথচ অধিক লাভের আশায় চড়া দামে তারাও ডাব বিক্রি করছে। একটি ফার্মেসির সামনে দেখতে পায় ডাব রাখা হয়েছে। পরে অভিযানে ফার্মেসির পেছন থেকে বিপুল পরিমাণ মজুদকৃত ডাবের সন্ধান পাওয়া যায়। তাছাড়া তারা বেশ চড়া দামে ডাব বিক্রি করছে। অভিযানে ফার্মেসি মালিক ও এক ডাব ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।’