বিভাগীয় মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্ট
এ জেড এম হায়দার :
এমন সহজ জয় পাবে-এমনটা হয়তো ফেনী জেলা দলই ভাবেনি। কিন্তু মাঠে নিজেদের দক্ষতা প্রমান করে এস. আলম গ্রুপ বিভাগীয় মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে শক্তিশালী বান্দরবান জেলাকে পরাস্ত করে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পৌঁছে গেছে ফেনী। তাদের পক্ষে মেহেদী হাসান, নাজমুল ও আবির গোল করেন। বান্দরবানের একমাত্র গোলটি আসে আরিফুলের পা থেকে। আজ (৯ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কক্সবাজার ও চাঁদপুর জেলা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। খেলা মাঠে গড়াবে বিকেল ৫টায়।
নিজেদের প্রথম খেলায় স্বাগতিক চট্টগ্রাম জেলাকে টাইব্রেকারে হারারো ফেনী গতকালও ছিল বেশ উজ্জীবিত। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের আলোতে শুরু থেকেই গুছিয়ে খেলে প্রতিপক্ষ রক্ষণব্যুহে প্রভাব বিস্তার করে। এর সুবাদে তৃতীয় মিনিটেই গোলের দেখা পায় তারা। ডানপ্রান্ত থেকে সতীর্থের শূন্যে পাঠানো বলে মাথার সংযোগ করে মেহেদী জালের ঠিকানা খুঁজে পান (১-০)। ২০ মিনিটে বান্দরবানের সমতা আনার সুযোগ নষ্ট হয়। ডানপ্রান্ত থেকে শাহীনের বাড়ানা বলে গোলমুখের সামনে থাকা প্রেনচং মারমা পা ছোয়াতে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আবারো তাদের গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয়। প্রƒহলা সিং মারমার ফ্রি-কিকে প্রেনচং মারমার দূর্দান্ত হেড সরাসরি কিপারের হাতে চলে যায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে কম ব্যবধানে আরো দুই গোল পেয়ে স্বস্তিতে থাকে ফেনী। বাসভর্তি ফেনী থেকে আসা সমর্থকরা খেলোয়াড়দের উৎসাহিত জুগিয়েছে। এ অর্ধের ২০ মিনিটে বদলি নাজমুল নেমেই বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান ২-০ করেন। ডানপ্রান্ত থেকে হামিমের সেন্টার আয়ত্বে নিয়ে নাজমুল ফাঁকায় থেকে জোরালো শটে গোল করেন। ২ মিনিট পরে বান্দরবান কিপার উশাই মারমার এগিয়ে আসার সুযোগে আবির বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ফাঁকা জালে পৌঁছে দেন (৩-০)। ২৪ মিনিটে বক্সে বল পেয়ে দ্রুতলয়ে শট নিয়ে আরিফুল বান্দরবানের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন (৩-১)। ম্যাচসেরা আবিরের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন এস. আলম গ্রুপের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট এম হোসাইন রানা। খেলা পরিচালনা করেন বিটুরাজ বড়ুয়া। সহকারী ছিলেন শরিফুজ্জামান টিপু ও মাহমুদ হাসান মামুন।