নিজস্ব প্রতিনিধি, হাটহাজারী »
ফটিকছড়ি উপজেলা থেকে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের তিন মাস পর উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবক ও তার মাসহ আরও দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে র্যাব ৭ এর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠনো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাতে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর এলাকার মোহাম্মদ ওসমান আলীর পুত্র মোহাম্মদ সাইমুন (২৪) ও তার মা হাছিনা বেগম (৪৫), একই এলাকার মোহাম্মদ হাবিবের পুত্র মোহাম্মদ রাসেল (২৫) ও পটিয়া উপজেলার আশিয়া এলাকার গোলাম হোসেনের পুত্র মো. সোহেল (৩৭)।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফটিকছড়ি উপজেলার একটি স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী অপহৃত ছাত্রী। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে অভিযুক্ত সাইমুন তাকে উত্ত্যক্ত ও মোবাইল ফোনে প্রায় সময় বিরক্ত করতো। এ সমস্যার কথা ওই ছাত্রী তার পরিবারে জানায়। পরে ওই ছাত্রীর মা সাইমুনের পরিবারকে এ ব্যাপাওে অভিযোগ করে। এতে সাইমুন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকজনদের গালমন্দ করে এবং তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।
এদিকে গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই ছাত্রী ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় যায়। এ সময় সাইমুন তার ২-৩ জন সহযোগীসহ তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত লোকজন বিষয়টি ওই ছাত্রীর মাকে জানায়।
পরেরদিন ২৪ আগস্ট স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ও এলাকার লোকজনদের পরামর্শে ছাত্রীর মা বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। একইসঙ্গে বিষয়টি র্যাব-৭কে অবহিত করেন।
গতকাল বিকালে র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার সুপ্রভাতকে বলেন, ছাত্রীকে উদ্ধার এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি চালায় র্যাব সদস্যরা। তারই ধারাবাহিকতায় ১১ নভেম্বর রাতে হাটহাজারীর পশ্চিম দেওয়ান নগর এলাকার একটি ভাড়াঘর থেকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত সাইমুন ও তার মাকে গ্রেফতার করা হয়। একইসঙ্গে অপহরণে সহযোগিতা ও আশ্রয় দেওয়ায় মো. সোহেল ও মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইমুন এবং তার মা ওই ছাত্রীকে অপহরণের কথা স্বীকার করে এবং অপহরণের দিন থেকে তারা আত্মগোপনে ছিলেন বলেন জানায়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ র্যাব কর্মকর্তা।