‘প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতা বিশেষভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সর্বক্ষেত্রেই খুলে দিয়েছে অপার সম্ভাবনার দ্বার। কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান আর সৃজনশীল কিছু করার তীব্র আকাক্সক্ষাই পারে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও ই-কমার্স উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং স্বাবলম্বী হওয়ার সহজ উপায়। বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং পেশার সঙ্গে সংযুক্ত। তথ্য প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মোহরা ইউসেপ কার্যালয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ই-কমার্সে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী একথা বলেন। ইউসেপ’র আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জয় প্রকাশ বড়–য়ার সভাপতিত্বে ও সিনিয়র অফিসার আকরাম হোসেন সবুজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, কাউন্সিলর কাজী নূরুল আমিন মামুন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ইউসেপ কালুরঘাট শিল্পাঞ্চলের আতাউর রহমান, লোকপ্রিয় বড়–য়া ও প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে প্রকৃতি চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী নাথ প্রমুখ। মেয়র আরো বলেন, ফ্রিল্যান্সিং নারীদের জন্য অনেক সুবিধাজনক। আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় নারী বাহিরে চাকরি করতে অনেক সমস্যা। সে হিসেবে ঘরে বসেই একজন নারী ই-কমার্সের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে পরিবারকে সহায়তা করতে পারে। সেটা তার ভেতর অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি করে। আমাদের দেশে বর্তমানে ৮০শতাংশ লোক ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ই-কমার্স মূলত নির্ভর করে প্লাটফর্ম এবং ওয়েবসাইট কতটুকু সুসজ্জিত তার উপর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সবকিছু ঠিক থাকলেও পণ্যের গুণগত মান ও ক্রেতার কাছে সঠিক সময়ে প্রোডাক্ট পৌঁছানো। তাহলেই প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা সম্ভব হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন, আজকের এ প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি তোমাদের জীবনে অধিকতর সাফল্য বয়ে আনতে এবং কর্মময় জীবন বিকাশে নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। অনুষ্ঠান শেষে মেয়র প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। বিজ্ঞপ্তি