চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশই এখন স্মার্ট সিটির দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশকেও প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট সিটি গঠনে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্মার্ট প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের তৈরী করতে হবে। তাই স্মার্ট সিটির বিকল্প নাই। তিনি বলেন, স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যা শিক্ষার্থীদের আপ টু ডেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের যোগ্যতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক স্তরের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন উপকরণের সাথে অধ্যয়ন করতে সক্ষম করে গড়ে তোলে। আজকের শিক্ষার্থীরা জন্ম থেকেই ডিজিটাল প্রযুক্তির সংস্পর্শে এসেছে যেখানে শেখার অভিজ্ঞতা মুলক এবং উচ্চমাত্রার সংবেদনশীল উদ্দিপনা জড়িত।
তিনি বলেন, বিশ্বায়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি দক্ষতা প্রয়োজনীয়তাকে দ্রুত পরিবর্তন করছে। আমাদের পাঠ্যক্রমের মধ্যে এটিকে আর্দশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মেয়র সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সহযোগিতা মুলক প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল শিক্ষার সংস্থান শিক্ষকদের শ্রেণী কক্ষে রাখার জন্য কম্পিউটরাইজড প্রশাসন, মনিটরিং ও রিপোর্টিং ছাত্রদের জন্য অনলাইন শেখার সংস্থানের ব্যবস্থা পর্য্যায়ক্রম গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
সোমবার সকালে কাট্টলি সিটি কর্পোরেশন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম ও বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন।
শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর তছলিমা নুরজাহান রুবী, অভিভাবক সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইকবাল চৌধুরী, মো. হাবিবুর রহমান, আবুল কালাম আবু, মো. আবু সুফিয়ান, শংকর প্রসাদ দাশ, হাজী মো. এস্কান্দর ও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের পক্ষে সায়লা আবেদীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম।
মেয়র বলেন, আমাদের উচিত এখনই সব পাঠ্যক্রমকে একীভূত করে একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনীমুলক দক্ষতা ভিত্তিক পাঠ্যসূচি তৈরী করা যাতে দেশের সব শিক্ষার্থী একইভাবে একসঙ্গে অনাগত ভবিষ্যতের মোকাবেলা করতে পারে। তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল দুনিয়ায় শেষ সীমা বলে কিছু নেই। এখানে সর্বদা নতুন চিন্তা উদ্ভাবন ও সম্পাদন চক্র চলমান থাকে।
প্রয়োজনে যে কোন সময়ে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা যায়। এডুটেক ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা দ্বারাই আমাদের চিরাচরিত সমাজকে পরিবর্তন করা সম্ভব, তিনি বলেন, সমাজে কিভাবে উৎকর্ষ সাধন ও অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষ তৈরী করা যায় সেদিকেও আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে মেয়র কাট্টলি সিটি কর্পোরেশন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন। বিজ্ঞপ্তি