পেকুয়া, রামগড়, চন্দনাইশ, মিরসরাই, বাঁশখালী »
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় কক্সবাজারের পেকুয়ায় ঘর পেয়েছেন আরও ৩১ পরিবার। গত বৃহস্পতিবার সকালে এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা হলরুমে এক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভিড়িও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে উপকারভোগীদের কাছে জমির দলিলসহ এসব ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠিত দলিল ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া- পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলম এমপি। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট উম্মে কুলসুম মিনু, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রাহুল চন্দ, টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আলম এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ছিল কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। তারই ধারাবাহিকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনা এ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁয় করে দিচ্ছেন।
এসময় টইটং ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের উপকারভোগী ছৈয়দা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর ইউএনও পূর্বিতা চাকমার স্যারের মাধ্যমে পেয়ে আমি মহা খুশি। আমার কোন ঘর ছিল না রাস্তার ধারে পলিথিন দিয়ে একটি ছোট খুঁড়িঘরে বসবাস করছিলাম। সেখান থেকে চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর সুপারিশে আজ একটি ঘর পেয়েছি। মাথা গোজার ঠাঁয় পেয়ে আল্লাহর কাছে প্রধানমন্ত্রী, ইউএনও, চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া করছি। কখনো স্বপ্নে দেখিনি পাকা ঘরে থাকব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। এদিকে উপকারভোগীদের জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করার পাশাপাশি প্রতিবছরের ন্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমার পক্ষ থেকে তাঁদেরকে ফলজ ও বনজ গাছের চারা উপহার তুলে দেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, ৩য় পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পেকুয়ার ৩১ গৃহহীন পরিবারকে ঘরের চাবি ও জমির কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে ৯টি, শিলখালী ১৭টি, ও টৈটং ইউনিয়িনের ৫টি গৃহহীন পরিবার ৩য় পর্যায়ে মুজিব শতবর্ষের ঘর পেয়েছেন। তাছাড়া এ পর্যায়ে ২৭টি ঘর নির্মাণের বরাদ্দ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এগুলোর জন্য সাইট সিলেকশন, মাটি ভরাট ও পর্যাপ্ত খাস জমির দখল পুনরুদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। বরাবরের মতোই সুবিধাভোগী প্রতিটি পরিবার সেমি পাকা ঘরের পাশাপাশি ২ শতাংশ ভূমির মালিকানার স্বপক্ষে একটি কবুলিয়ত দলিল, নামজারি খতিয়ান ও হালসনের ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ পেয়েছে।
এছাড়াও ১ম ও ২য় পর্যায়ে পেকুয়ায় মোট ১০০টি গৃহহীন পরিবার মুজিব শত বর্ষের ঘর পেয়েছে। এর মধ্যে মগনামায় ৩১টি, বারবাকিয়া ১টি, শিলখালী ১৮টি, টৈটং ২৯ টি, উজানটিয়ায় ৪টি ও রাজাখালীতে ১৭টি ভূমিহীন পরিবার এ সুবিধার আওতাভুক্ত ছিলো।
রামগড়
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৩য় পর্যায়ে (২য় ধাপে) ভূমিহীন ও গৃহহীন ৭৮টি পরিবারের মাঝে দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপকারভোগীদের মাঝে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করেন খাগড়াছড়ি আসনের সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। প্রধান অতিথি বলেন, মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে লক্ষে দেশের সব ভূমিহীন পরিবারকে ঘর প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী, পৌর মেয়র রফিকুল আলম, অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, প্রকল্পের সদস্য সচিব ও পিআইও নজরুল ইসলাম, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি মোস্তফা হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদার, নুরুল আলম আলমগীর প্রমুখ।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার উম্রাচিং চৌধুরী’র সঞ্চালনায় সহকারী প্রোগ্রামার রেহান উদ্দিন এর কারিগরি সহযোগিতায় উপকারভোগী পরিবারসহ সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান- কার্বারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চন্দনাইশ
চন্দনাইশ উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের ২য় ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে চন্দনাইশ উপজেলার ভিডিও কনফারেন্স হলরুমে ভার্চুয়াল মিটিং এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান উদ্বোধন করেন।
সারা দেশের ন্যায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি সারা দেশে ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে ২শতক জমি ও ঘর প্রদান উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তারের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ১৫ টি পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী, পৌর মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা, ভাইস চেয়ারম্যান মওলানা সোলাইমান ফারুকী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট কামেলা খানম রূপা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গালিব চৌধুরী, চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুনাইদ আবছার চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. রিয়াদ হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. আবু সুফিয়ান, চন্দনাইশ পৌরসভা আ’লীগের আহবায়ক এম কায়ছার উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
এ সময় উপজেলা উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সুধী সমাজ, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে যারা আগে অন্যের জমিতে ছাউনি করে কাটিয়েছেন। যাদের ছিলনা বাড়ি করার মতো জায়গা জমি। মুজিববর্ষে পুনর্বাসিত হচ্ছে সেই সকল উপকারভোগী।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশের সাথে একযোগে আজ চন্দনাইশ উপজেলায় মোট ১৫টি বসতঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে চন্দনাইশ উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৮ ইউনিয়নে মোট ১৩৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ বসতঘর হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সেমি পাঁকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ২ শতাংশ জমির উপর নির্মিত বাড়িটিতে থাকছে প্রতিটি ঘরে দুটি শয়নকক্ষ, একটি করে বারান্দা, রান্নাঘর ও বাথরুমসহ নানা সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে।
প্রদান কার্যক্রম তৃতীয় পর্যায়ে ২য় ধাপে এর শুভ উদ্বোধন করার পর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এমপি নজরুল বলেন, শেখ হাসিনার বাংলায় কেহ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। মুজিববর্ষে পর্যায়ক্রমে সকল ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করা হবে।
মিরসরাই
মিরসরাইয়ে পর্যায়েক্রমে ঘর পাচ্ছে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলো। সরকারের প্রচেষ্টায় মাথা গোজার ঠাঁই পেয়ে হাসি ফুটেছে এই পর্যন্ত ২০৪টি পরিবারের মুখে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ভূমিহীনদের নাম জমা দেয়ার জন্য ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের আহবান করা হলে সম্প্রতি আরো ৪৫টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের নাম জমা দিয়েছে তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাইয়ে আগে ৩৬৫জন ভূমিহীন পরিবার ছিল। সর্বশেষ মাসিক সমন্বয় সভায় আরো ৪৫টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের নাম জমা দিয়েছে ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। তাই সর্বশেষ জরিপ অনুসারে মিরসরাইয়ে মোট ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা ৪১০ জন। তন্মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ধুম ইউনিয়নে ৫০টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৫টি, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে হিঙ্গুলী ইউনিয়নে ২০টি পরিবারকে ২ শতাংশ জমির ওপর ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। জমি কিনে নতুন করে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কিছমত জাফরাবাদ এলাকায় আরো ১০৯টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হবে তৃতীয় ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে। বাকি গৃহহীন পরিবারগুলোকে ক্রমান্বয়ে পুনর্বাসন করা হবে।
আরও জানা গেছে, ভূমি ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনে মিরসরাইয়ে খাস জমির স্বপ্লতা থাকায় ২ একর ৬০ শতক জমি ক্রয়ের জন্য তিন কোটি ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু ৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকায় ২ একর ৬০ শতক জমি কিনে বাকি ১৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা প্রকল্প কার্যালয়ে ফেরত দেয়া হয়।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, মিরসরাইয়ে আগে ৩৬৫টি গৃহহীন পরিবার ছিল। সম্প্রতি মাসিক সমন্বয় সভায় আরো বেশ কিছু নাম জমা দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। এতে করে বর্তমানে মিরসরাইয়ে মোট ভূমিহীন পরিবার রয়েছে ৪১০টি। এদের মধ্যে কয়েক ধাপে ৯৫ জনকে ঘর দেয়া হয়েছে। আরো ১০৯জন ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হবে। পর্যাক্রমে সকল ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।
বাঁশখালী
বাঁশখালী উপজেলা সদরে অফিসার্স ক্লাবে ১৫ গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর ও ২ শতাংশ জমির দলিল তুলে দিলেন স্থানীয় প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়ালি বক্তব্য শুনে এবং অভাবের সংসারে উপহার হিসেবে সেমি পাকা ঘর ও জমি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা পরিবারগুলো।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজেমী, মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ ছফা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম রীশু কুমার ঘোষ, বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাসসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ। উল্লেখ্য, এর আগে ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে বাঁশখালীর পৌরসভা, পুকুরিয়া, খানখানাবাদ, চাম্বল এলাকায় ১৮১টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ঘর ও ২ শতাংশ জমি উপহার বিতরণ করা হয়েছিল। আজকে ১৫ পরিবারসহ সর্বমোট ১৯৬ পরিবার ঘর ও ২ শতাংশ জমি উপহার পেয়েছেন। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী জানান, আর বাকী ৬৬ গৃহহীন- ভূমিহীন পরিবার ঘর ও জমি পেলে বাঁশখালী উপজেলা ভূমিহীন উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হবে।