নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া ও সীতাকুণ্ড »
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে দু’টি দুর্ঘটনাই সীতাকুণ্ড উপজেলায় এবং আরেকটি পটিয়া উপজেলায় ঘটে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভাটিয়ারির জলিল গেট এলাকার চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় অমিত দাস (২০) নামে এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন।
নিহত অমিত দাস একই থানার ভাটিয়ারী মির্জানগর জেলেপাড়া এলাকার বিষ্ণু দাসের ছেলে।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক বলেন, বাসের ধাক্কায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা এক চালক নিহত ও আরেক মোটরসাইকেল চালক আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে সীতাকুণ্ডে লরিচাপায় মোহাম্মদ টিটু (২৮) নামক এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকার দেলিপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তাফার পুত্র। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ির কাসেম জুট মিলস এলাকার ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের মামা ওমর ফারুক খোকন জানান, নিহত টিটু শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ের সাথে জড়িত ছিলেন। সে সকালে ঘর থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেযোগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিল। এ সময় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাসেম জুট মিলসের সামনে চট্টগ্রামমুখী ইউটার্ন করে যাওয়ার সময় একটি লরি তাকে চাপা দিয়ে দ্রুত চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি নাজমুল হক।
এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হসপিটাল এলাকায় রবিন (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। তিনি নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন পাথরঘাটা নজু মিয়া লেন এলাকার মো. আনিছের পুত্র। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কক্সবাজারমুখী একটি ট্রাকের ধাক্কায় রবিন নিহত হন।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের এসআই মো. জাহিদ জানিয়েছেন, কক্সবাজারমুখী একটি ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।