ডেস্ক রিপোর্ট »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)-তে পিএইচপি ফ্যামিলির অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ‘মিজানুছ ছালাম জামে মসজিদ; আধুনিক নির্মাণশৈলীতে গড়ে তোলা মসজিদটি যে কারও দৃষ্টি কাড়বে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে মসজিদটির উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আক্তার।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ একুশে পদক পাওয়া পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সূফী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমি একটি জিনিস হৃদয়ের গভীরে ধারণ করি আল্লাহতায়ালা কোরআনে বলেছেন, এ পৃথিবীতে ধন-সম্পদ যা কিছু আছে সবকিছুর মালিক মহান আল্লাহ। আল্লাহ বলেছেন, তোমরা এসবের আমানতদার মাত্র। আমরা শুধু এসবের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত, আমরা এসবের কেয়ারটেকার। বিধাতা মানবজাতিকে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন, তাঁর ইবাদত করার জন্য। এ দুনিয়ায় মানুষ ধন-সম্পদ অর্জন করলেও খালি হাতে ফিরে যেতে হয়। পিএইচপি পরিবার ব্যবসা-বাণিজ্য করে যে টাকা আমরা উপার্জন করি, এর অধিকাংশই আমরা জনহিতকর কাজে ব্যয় করি।’
দেশের অন্যতম এ শিল্পপতি আরও বলেন, ভালো কাজ সবাই করতে পারে না। আল্লাহ যাদেরকে সুযোগ দেন তারাই কেবল ভালো কাজ করতে পারে। আমাকে আল্লাহ সুযোগ দিয়েছেন তাই করতে পেরেছি।
সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পাওয়া সূফী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমরা আইসিইউ বেড করে দিয়েছি। সেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করেছি। শিশুদের জন্য বিশেষ আইসিইউ নির্মাণ করা হয়েছে। মা ও শিশু হাসপাতালে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে পিএইচপি ফ্যামিলি অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পিএইচপি অনুদান দিয়ে চলেছে। সব মানুষের খেদমতে এগিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব মনে করি। পিএইচপি ফ্যামিলির পক্ষ থেকে এ ধরনের সহায়তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।’
এ সময় চবি উপাচার্য ড. শিরীন আক্তার বলেন, ‘আজকের এ দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। গত ২-৩ বছর ধরে যে মসজিদটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত হয়ে আসছে তা আজ দৃশ্যমান। তাই আজ আমাদের আনন্দের সীমা নেই।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করে দেয়ায় পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সূফী মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান উপাচার্য ড. শিরীন আক্তার।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যারা এ মসজিদে নামাজ আদায় করবেন, নিশ্চয় তাদের অন্তরের দোয়া সূফী মিজানুর রহমানের কাছে পৌঁছে যাবে। এ মহৎ কাজের সওয়াব তিনি দুনিয়া ও আখেরাতে পাবেন। আল্লাহ তাঁকে এ কাজের ফল (উপহার) দেবেন।’
উপাচার্য শিরীন আক্তার আরও বলেন, ‘আমাদের খুব বেশি আশা ছিল। আসছে রমজানে এ মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করবেন। ইবাদত-বন্দেগি করবেন। আলহামদুলিল্লাহ রোজার আগেই সেটি পূর্ণ হলো।’