নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পাহাড়খেকোরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়কে অবৈধ বসবাসকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাহাড়কাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে এসব বিজ্ঞপ্তি দেখে অন্তত জনসাধারণ পাহাড় কাটার বিষয়ে সচেতন হবে।
সোমবার পাহাড় কাটা রোধে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন আদেশ বাস্তবায়নে সাইনবোর্ড স্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ধসের বিষয়ে নানাভাবে প্রচার করছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে পাহাড় কাটার দায়ে প্রায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মনিটরিং ও নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় পাহাড় কাটা প্রতিরোধে।
জেলা প্রশাসক বলেন, পাহাড়ে অবৈধ দখল ও কাটতে দেখলে সরাসরি থানায়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে পারবে। পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ সময় নির্দেশনা ও কঠোর নিষেধাজ্ঞাসহ সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। তার মধ্যে লিংকরোড ও জঙ্গল সলিমপুর সংলগ্ন পাহাড়সহ পলিটেকনিক্যাল হট স্টেশন সংলগ্ন পাহাড়ের পাদদেশ, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ফৌজি ফ্লাওয়ার মিল পাহাড়ের পাদদেশ, ষোলশহর স্টেশন পাহাড়ের পাদদেশ, ফয়েজলেক এলাকার ১, ২, ৩ নম্বর ঝিল এলাকার পাহাড়, মতিঝর্ণা ও বাটালিহিল ও বায়েজিদ লিংক রোডসহ ২৬টি পাহাড়ে এসব সাইনবোর্ড লাগানো হয়।
জানা যায়, বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগের মালিকানাধীন ১৬টি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রায় ১০টি পাহাড়সহ মোট ২৬টি পাহাড়ে প্রায় ৬ হাজার ৫৫৮ অবৈধ বসবাসকারী পরিবার ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে।
এতে অবৈধ বসবাস উচ্ছেদ ও পাহাড় রক্ষায় গত ৮ আগস্ট পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৭তম সভায় এক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন আদেশ দেওয়া হয়। এ আদেশ বাস্তবায়নে মাঠে নামে জেলা প্রশাসন। এতে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করলে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারি করে জেলা প্রশাসন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেক, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মাজহারুল ইসলাম, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.বি.এম মশিউজ্জামান, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুক, হাটহাজারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রায়হান, মহানগর সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।