পার্বত্য জেলাগুলোতে আরো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়া দরকার

মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক »
‘পার্বত্য অঞ্চলে কিছু বাধা অন্য এলাকার চেয়ে বেশি। কুসংস্কার দূর করতে পার্বত্য জেলাগুলোতে আরো বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা উচিত। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সামাজিক সংস্কার ও আচরণকে সম্মান করেই প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে এগিয়ে আসতে হবে।’
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) আয়োজিত ‘প্রোগ্রাম শেয়ারিং অ্যান্ড স্টেক হোল্ডার এনগেজমেন্ট মিটিং’Ñ ‘আওয়ার লাইভস, আওয়ার হেলথ, আওয়ার ফিউচার’ প্রকল্পের বিভাগীয় পর্যায়ের অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান। গতকাল সকালে নগরীর একটি মোটেলে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে কিশোরীরা তাদের পূর্ণাঙ্গ জীবনে উপনীত হবে। এ সময়ে যখন শারীরিক পরিবর্তন আসে তখন প্রথমে ভীতি কাজ করে। এসময়ে তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক কাজ থেকেও বিরত রাখা হয়। বাস্তবতা হলো এটা একটি অনিবার্য শারীরিক প্রক্রিয়া। শারীরিক, মানসিক ও অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ঘটে এ সময়ে। প্রাপ্ত বয়স্কদের উচিত এ সময়ে তাদের সহায়তা করা। তাহলে কিশোর-কিশোরীরা কুশিক্ষা পাবে না। এটা স্বাভাবিক শরীর বৃত্তীয় প্রক্রিয়া। সঠিক জ্ঞান না থাকলে অসুস্থতা এসে যায় যা রিপ্রোডাকটিভ হেলথকে ঝুঁকিতে ফেলে। এমনকি পরবর্তীতে মৃত্যুর মুখেও ঠেলে দেয়। সরকারি পর্যায়ে এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ কাজ করে। বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য। আলোকিত মা হতে হলে তাদের সব বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে হবে।
বিএনপিসের শরীফ চৌহানের ও সুমিত বণিকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. সেহেলি নার্গিস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রজেক্ট ম্যানেজার সঞ্জয় মজুমদার।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং সিমাভি নেদারল্যান্ডের কারিগরি সহযোগিতায় তিন পার্বত্য জেলার ১০টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এ প্রকল্পে বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। কিশোরী ও যুবা নারীদের যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য, মাসিক ব্যবস্থাপনা, লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে তিন পার্বত্য জেলার ১৭টি উপজেলায় ১২ হাজার কিশোরী ও যুবা নারীকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রকল্পের কাজ পরিচালিত হচ্ছে। ৩০০টি গার্লস ক্লাবের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি ও বাস্তবাায়নের কাজ চলছে। প্রতিটি গার্লস ক্লাবের সদস্য ৪০জন করে। কিশোরীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবক, পরিবারের পুরুষ সদস্য এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করে এ কার্যক্রম চলছে।