নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান »
রেলপথ মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেছেন, রাউজানের রাস্তাঘাট, হাটবাজার, বাড়ির আঙিনায় ময়লা-আবর্জনা দেখতে চাই না। পলিথিন, প্লাস্টিকের মতো পরিবেশ দূষণকারী অপচনশীল পদার্থ পথে-ঘাটে, কৃষিজমিতে যাতে দেখা না যায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। রাউজান পৌরসভা ও রাউজানের ১৪টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন রাখতে ও পরিবেশ রক্ষা করতে অপচনশীল আর্বজনা ক্রয় করা হচ্ছে। এলাকার সাধারণ দরিদ্র মানুষেরা এলাকা থেকে অপচনশীল আবর্জনা কুড়িয়ে বস্তাভর্তি করে এনে বিক্রয় করছে।
রাউজান পৌরসভার মেয়র ও ১৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে প্রতি বস্তা একশো টাকায় অপচনশীল আর্বজনা ক্রয় করছে। রাউজানের প্রতিটি এলাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন রাখতে ও রাউজানকে পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা করতে এ কার্যক্রম চলবে।
গত ২২ মে রোববার দুপুরে চিকদাইর ইউনিয়নের উদ্যোগে অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য এ কথা বলেন। বিভিন্ন এলাকায় পড়ে থাকা অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা দরিদ্র পরিবারের নারী ও পথশিশু, প্রতিবন্ধীরা কুড়িয়ে বস্তাভর্তি করে পরিষদের মাঠে বসায় আবর্জনার হাট। সেখান থেকে ময়লা-আবর্জনা কিনে নেন ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।
এতে ১ হাজার বস্তা অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা একশো টাকা করে ক্রয় করা হয়। চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রিয়তোষ চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির চৌধুরী ও ছাত্রলীগ নেতা কাজী মাসুদ রানার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল হারুন, চিকদাইর শাহাদাত ফজল উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন, জাকের মাস্টার, শ্যামল দত্ত, সেলিম উদ্দিন, আলমগীর আলম, আনোয়ার হোসেন, হানিফ মেম্বার, আকতার হোসেন, ইউপি সদস্য লোকমান হোসেন, মোদাচ্ছের হায়দার, নেজাম উদ্দিন, জাগের হোসেন, প্রদীপ দাশ, আনোয়ার, সালাউদ্দিন, য্বুলীগ নেতা জাহেদুল আলম, কামরুল হাসান বারেক, নেজাম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, জানে আলম মিনহাজ, ছাত্রলীগ নেতা জাহেদুল আলম, নোমান বিন আজিজিসহ অনেকে।