সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি পরাজয় জুটলো বাংলাদেশের। সেই সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজের পর এক ম্যাচ বাকি থাকতে টি-টোয়েন্টি সিরিজও হাতছাড়া হলো টাইগারদের। তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারলেও নেপিয়ারের ম্যাচটি আলোচনায় থাকবে তালগোল পাকিয়ে যাওয়ার জন্য। দুই দফায় বৃষ্টি হানা দেওয়ায় ব্ল্যাক ক্যাপদের ইনিংস ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান থাকতে শেষ ঘোষণা করেন মাঠের আম্পায়াররা। খবর বাংলানিউজের।
ডি/এল মেথডে বাংলাদেশের সামনে প্রথমে ১৬ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৮। কিন্তু বাংলাদেশের ইনিংসের ১.৩ ওভারের সময় ম্যাচ অফিসিয়ালরা আবারও পর্যালোচনা করে কিউইদের রান নির্ধারণ করেন ১৭০।
শেষ পর্যন্ত ১৭১ রানের লক্ষ্যের জবাবে বাংলাদেশ ১৬ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪২ রান করে বাংলাদেশ। বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে হারে বাংলাদেশ। এই নিয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রিকেটে সব ফরম্যাটে ৩১ ম্যাচ হারলো বাংলাদেশ। অবশ্য দ্বিতীয় ম্যাচে হারের পেছনে ডিএলএসকে কিছুটা দায়ী করলেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ১০ ওভারে নাঈম ও সৌম্যের জুটিতে বাংলাদেশ যে ট্র্যাকে ছিল তা জানিয়ে টাইগার অধিনায়ক ম্যাচ শেষে বলেন, ‘কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। ডিএলএস পাল্টাতে লাগলো। তবে ম্যাচেই এসব ঘটলো। প্রথম ১০ ওভার আমরা ট্র্যাকে ছিলাম। তবে শেষটা যথেষ্ট ভাল করতে পারিনি। আমি মনে করি, নাঈম ও সৌম্য আমাদের মোমেন্টাম এনে দিয়েছিলেন। তবে ফিলিফস ও সোধি অত্যন্ত ভাল করেছে এবং আমরা তাদের ওভার ব্যবহার করতে পারিনি। আমরা যদি ঐ সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারতাম, তবে জিততে পারতাম।’
এই সফরে একের পর এক ক্যাচ মিস ও বাজে ফিল্ডিংয়ের সমালোচনা আগে থেকে হয়ে আসছে টাইগারদের। তবে এসবের মাঝে নেপিয়ারে আলোর ঝলকানির মতো তাসকিন আহমেদের এক অসাধারণ ক্যাচ যেন আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। সেই সঙ্গে টপ-অর্ডারদের ফর্মে ফিরে আসা আশার সঞ্চার করেছে মাহমুদউল্লার মনে।
এসব পজিটিভ দিক নিয়ে তৃতীয় ম্যাচ ঘুরে দাঁড়িয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য অধিনায়কের, ‘তাসকিন চমৎকার এক ক্যাচ নিয়েছে এবং এটা আমাদের প্রচুর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো টি- টোয়েন্টি ফরম্যাট ভালোভাবে শেষ করা। আমাদের টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান খুব ভাল করেছে। আশা করি, পরের ম্যাচে তা পজিটিভভাবে নিতে পারবো।’
খেলা