সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বিপিএলের শুরুটা দুর্দান্ত ছিল খুলনা টাইগার্সের। তবে মাঝের দিকে খেই হারিয়ে অজানা এক হারের বৃত্তে আটকা পড়ে গেছে এনামুল হক বিজয়ের দল। অবশেষে সেই হারের বৃত্ত ভেঙেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দলটি। টানা পাঁচ হারের পর দুর্দান্ত ঢাকাকে উড়িয়ে জয়ে ফিরেছে খুলনা। ১২৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে এই ম্যাচে খুলনা জিতেছে ২৮ বল আর ৫ উইকেট হারে রেখেই। অপরদিকে টানা দশম হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে ঢাকা। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১২৮ রান তোলে ঢাকা। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। অধিনায়ক এনামুল ফেরেন ডাক মেরে (১ বলে ০)। আরেক ওপেনার এভিন লুইস ফিরেছেন ৪ রান করে। এরপর মিডলঅর্ডারে পারভেজ হোসেন ইমন, শাই হোপ ও আফিফ হোসেনের মাঝারি ধরনের ইনিংসের উপর ভর করে সহজ লক্ষ্য টপকে ফেলে খুুলনা। ৩০ বলে ৪০ রান করেন পারভেজ। চুতারাঙ্গা ডি সিলভার শিকার হওয়ার আগে তিনি এই ইনিংস সাজাতে হাঁকিয়েছেন ৪টি ছক্কার মার। শাই হোপ করেছেন ২৮ বলে ৩২ রান। আর ২১ বলে ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন আফিফ হোসেন। এই তিন ব্যাটারের ব্যাটেই জয় পেয়েছে খুলনা। এর আগে ব্যাট করতে শুরু থেকেই রান করতে পারেনি ঢাকা। পাওয়ার-প্লেতে ৬ ওভারের মধ্যেই ২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তাসকিন আহমেদের দল। একে একে সাজঘরে ফেরত গিয়েছেন মোহাম্মদ নাইম, সাইফ হাসান ও অ্যাডাম রসিংটন। মাঝখানের দিকে অ্যালেক্স রস ও ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে কিছুটা রান পেয়েছে ঢাকা। রস করেছেন ৩৫ বলে ২৫ রান করে অনাকাঙ্ক্ষিত রানআউটের শিকার হন তিনি। ২৬ বল খেলে ইরফানও করেন ২৫ রান। মুকিদুল ইসলামের বলে মাহমুদুল হাসানের হাতে ক্যাচ হন তিনি। তার আগে ওপেনিংয়ে নেমে ১২ বলে ১৮ রান করেছেন রসিংটন। শেষ দিকে লড়াই করে ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। ২৩ বলে ২৬ রান করে মুকিদুলের তৃতীয় শিকার হয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে জুটি করা চতুরাঙ্গা ডি সিলভা করেছেন ১১ বলে ১৭ রান। ঢাকার হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন মুকিদুল ইসলাম ও ওয়ান্নে পার্নেল। খবর জাগোনিউজ’র