নিজস্ব প্রতিবেদক »
শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। মুসলিম উম্মাহর কাছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অমীয় বার্তা নিয়ে শুভাগমন করলো রমজান।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরির রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ মঙ্গলবার প্রথম রোজা পালন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এর আগে গত রাতে এশার নামাজের পর পবিত্র তারাবির নামাজ আদায় এবং ভোররাতে সেহেরি খেয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘১৪৪৫ হিজরি সনের রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরু হবে। ৬ এপ্রিল শনিবার হবে লায়লাতুল কদর।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতারের মধ্য দিয়ে মুসলমানরা রোজা ভাঙবেন। এভাবে এক মাস সংযম পালনের পর তারা উদযাপন করবেন ঈদুল ফিতর।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে সোমবার থেকেই রমজান মাস শুরু হয়েছে।
ইসলামের সূচনাকাল থেকেই রমজান নিয়ে উচ্ছ্বাস রয়েছে মুসলমানদের মধ্যে। কারণ ইসলামের পাঁচ ভিত্তির অন্যতম হলো মাহে রমজানের রোজা পালন করা। মুসলমানদের আকাক্সিক্ষত মাস রমজান। পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল এ মাসে। সূর্যোদয়ের আগে থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকেন রোজাদাররা। সুবহে সাদিকের (রাতের শেষ ভাগ) আগে সেহেরি খেয়ে সূর্যাস্তের সময় ইফতার করবেন তারা।
এদিকে গতবারের ন্যায় এবারও পবিত্র রমজান মাসে দেশের সকল মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করে খতম তারাবি পড়ানোর জন্য ইফার পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইফার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং পরের ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা কোরআন খতমের পরামর্শ দিয়েছে। এতে পবিত্র শবে কদরের রাতের তারাবিতে কোরআন খতম সম্ভব হবে। এ নিয়ম অনুসরণ করার জন্য সারাদেশের সকল মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ইফা। এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে রমজানে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসলিমদের কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মনে করে ইফা।
এদিকে রমজানে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এবং কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে এ জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করবে।
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল পৃথক বাণী প্রদান করেন।