নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া :
পটিয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে মো. আনোয়ার হোসেন নামের এক যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই যুবককে জুতার মালা পরিয়ে, চুল কেটে দিয়ে এবং উলঙ্গ করে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের শিকার আনোয়ার উপজেলার জিরি ইউনিয়নের উত্তর দেয়াং কোর্টপাড়া এলাকার আজম আলী হাজির বাড়ির মৃত নুর মোহাম্মদের পুত্র। যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন করেছে একই এলাকার পুলিশ কনস্টেবল নেছার উদ্দিন (৪৫)। সম্প্রতি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা থেকে বদলি হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রামের আদালতে কর্মরত। তার ছোট ভাই মো.আরিফ চট্টগ্রাম নগর পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) হিসেবে চট্টগ্রাম আদালতে কর্মরত রয়েছেন। সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নির্যাতনের ভিডিও প্রচার হয়। এর আগে পুলিশ কনস্টেবল নেছার কৌশলে ওই যুবককে ডেকে নিয়ে টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানান, উপজেলার জিরি ইউনিয়নের বাসিন্দা এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া এবং গণধর্ষনের অভিযোগে পটিয়া থানায় সম্প্রতি একটি ধর্ষণ মামলাও হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল খালেদ তদন্ত করছেন। এ ঘটনায় পুলিশ এক আসামিকে গ্রেফতারও করেছে। স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সন্দেহে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের পর যুবক আনোয়ার হোসেনকে উলঙ্গ করে মারধরও করে। পরে ভিডিও ধারণ করে। নির্যাতনের শিকার ওই যবুক বলেন, নির্যাতনকালে কনস্টেবল নেছার তার স্ত্রীর সঙ্গে আমাদের এলাকার সাজ্জাত হোসেন রম্নবেল ও আমার সঙ্গে মেলামেশা আছে- এমন স্বীকারোক্তি দিতে বলে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় নির্যাতন করা হয়।
পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল খালেদ জানিয়েছেন, গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয় এবং আসামি রম্নবেলকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে উলঙ্গ করে যুবককে নির্যাতন করার বিষয়টি তিনি জানেন না। যদি এই ধরনের কিছু হয়ে থাকে তা প্রচলিত আইনে জড়িতদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।