স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতিসত্তার অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে মন্তব্য করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, কোনো বিদেশি প্রেসক্রিপশন ছাড়া সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেই। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন বানচালকারীদের সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করার জন্য দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকবে।
গতকাল বুধবার বিকেলে নগরীর কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বর্ধিত সভায় দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
আ জ ম নাছির বলেন, এই সময়ের মধ্যে আমাদেরকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলের সকল অর্জন, সাফল্য ও সুফলগুলো ভোটাদেরকে জানাতে হবে। একই সাথে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় থাকা বা না থাকা অবস্থায় যে অপকর্ম ও কুর্কীতিগুলো করেছে তাও ভোটারদের কাছে তুলে ধরতে হবে। আমরা যদি ভোটারদের কাছে বর্তমান সরকারের সাফল্য এবং প্রধানমন্ত্রী জাতিকে কি কি উপহার দিয়েছেন তা যদি স্মরণ করিয়ে দিতে পারি ভোটররা অবশ্যই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জয়যুক্ত করবে।
তিনি আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলের প্রান্তিক গোষ্ঠীর তিন কোটি মানুষ সরাসরি উপকারভোগী হয়েছেন। ভূমি ও গৃহহীন ৫ লক্ষ মানুষ বিনামূল্যে ভূমি ও গৃহ পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলারের দাম বিরাশি টাকা থেকে বেড়ে একশত সাড়ে দশ টাকা হওয়ায় আমদানিকৃত নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এ কারণে বর্তমান সরকার টিসিবির মাধ্যমে এক কোটিরও বেশি পরিবারকে ভুর্তুকি দিয়ে মাত্র ৪৭০ টাকায় ৫ কেজি চাল, দুই লিটার তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও দুই কেজি চিনি প্রদান করছে। বাজারে যার মূল্য ৮ শ’ টাকার বেশি। জনগণকে ভর্তুকি দিয়ে এভাবে সেবা দেওয়ার নজির পৃথিবীতে আর কোথাও নেই।
এ সব সাফল্যের কীর্তি ছাড়াও আরো অনেক বড় বড় কীর্তি আওয়ামী লীগের শাসনামলে অর্জিত হয়েছে। এ সব সাফল্যের জন্য ভোটারদের নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকার কথা। নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের সাথে সাথে এখন থেকে আমাদেরকে ভোটারদের কাছে গিয়ে তাদের মন জয় করতে হবে এবং আমাদের এই সরকারের সাফল্যগুলো তথ্য জানান দিতে হবে, তাহলে আওয়ামী লীগের বিজয় ঠেকানোর সাধ্য কারো নেই।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, শফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, শফিক আদনান, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, হাজী মো:. হোসেন, আবু তাহের, মহিউদ্দিন বাচ্চু এমপি, নুরুল আবছার মিয়া, সৈয়দ আমিনুল হক, পেয়ার মোহাম্মদ, বখতিয়ার উদ্দিন খান, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কিষাণ চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু প্রমুখ।
এ ছাড়া ১৫টি থানা, ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক যুগ্ম আহ্বায়কগণ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি