নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় দুইজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার মহেশখালী উপজেলায় ১ জন ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ১ জন নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আবদুল হালিম (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবদুল হালিম মোহাম্মদ হোসাইনের পুত্র। তিনি নৌকার প্রার্থী আবুল কালামের সমর্থক ছিলেন।
ওসি ওমর হায়দার জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় পিলট কাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আবদুল হালিম নামে একজন মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে জেলার মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের গোলাগুলিতে আবুল কালাম (৪০) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই।
আবুল কালাম ওই উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার ছোট মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি জানান, মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী শেখ কামাল এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থকদের মধ্যে ভোট জালিয়তি নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে উভয়পক্ষে ব্যাপক গুলি বিনিময় শুরু হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই আবুল কালাম নিহত হন।
গুলিবিদ্ধ আরও ৪ জনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।