শুভ্রজিৎ বড়ুয়া »
প্রথমবারের মতো ভোট দিতে এসে ভোটার নাম্বারের বিড়ম্বনায় পড়েছেন নতুন ভোটাররা। বিষয়টি নিয়ে বেশ বিভ্রান্তিতে পড়েছেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা।
আজ (রোববার) চট্টগ্রাম-৮, ১০ ও ১১ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।
দেখা যায়, নির্বাচন কমিশন থেকে প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্রমানুসারে ভোটারদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি এক বছরের মধ্যে হওয়া ভোটার বিবরণ। তাই কেন্দ্রে গিয়ে বারবার তালিকা মিলিয়ে বিরক্ত হচ্ছেন নতুন ভোটাররা।
মো. মিনহাজ হাবিব নামে নতুন একজন ভোটার বলেন, ‘আমি চারবার ভোটার তালিকা মিলিয়ে কেন্দ্র থেকে বারবার ফেরত আসছি। সরকার ভোটকে অংশগ্রহণমূলক করতে চাইলেও সিস্টেমের কারণে আমি বিরক্ত। এভাবে হলে তো, আগামীতে আর ভোট দিতে আসার আগ্রহ থাকবে না।’
বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকজন প্রিজাইডিং অফিসার জানান, আমাদের এখানে যে তালিকা আছে আমরা চাইলেও তার বাইরে ভোট নিতে পারবো না। তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের ভোট আমরা নিচ্ছি। তবে কিছু নাম তালিকায় থাকলেও ক্রম নাম্বারে অনেকের নাম্বার আসেনি। তাই তারা নতুন ভোটারদের সুযোগ দিলেও যাচাই-বাছাইয়ে বেশ সময় লাগছে।
এ নিয়ে ফুল চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার মো. নবী বলেন, ‘দুপুর ২টা পর্যন্ত আটশতের বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে। দুইজন নতুন ভোটারের ভোটার নাম্বার আপডেট না হওয়ায় একটু জটিলতা হচ্ছে। আমরা আবার অনলাইনে চেক করে তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছি। এতে একটু দেরি হচ্ছে। তবে কাউকে নিরুৎসাহিত করছি না।’