সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
নামিবিয়াকে ৫২ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের দৌড়ে এখনও টিকে থাকলো নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারালেই গ্রুপ-২ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চার নিশ্চিত করবে কিউইরা।
তার পরেও এই গ্রুপে নেট রান রেট একটা বড় ‘প্রভাবক’ হয়ে দাঁড়িয়েছে! ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেলেও কিউইরা আফগানদের থেকে রান রেটে এখনও পিছিয়ে। রান রেটে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকতে আজ নামিবিয়াকে ৯৪ রানে রুখে দিলেই হতো! কিন্তু সেটি করতে না পারায় শেষ ম্যাচে কোন ভুল করা যাবে না কেন উইলিয়ামসনদের। কারণ আফগানদের বিপক্ষে হারলেই টেবিলে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে এই রান রেটের সমীকরণ!
তাই ম্যাচের গুরুত্ব বুঝেই শুরুতে টস হেরে নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে করে ১৬৩ রান। প্রত্যাশা মতো ঝড় তুলতে পারেননি টপ অর্ডার ব্যাটাররা। মার্টিন গাপটিল ও ডারিল মিচেল টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলতে পারেননি।
গাপটিল ১৮ বলে ১৮ ও মিচেল ১৫ বলে ১৯ রানে ফিরেছেন। অধিনায়ক উইলিয়ামসনও ২৫ বলে করেছেন ২৮! কনওয়ের ১৮ বলে ১৭ রানের পর স্কোরবোর্ড মূলত সমৃদ্ধ হয় গ্লেন ফিলিপস ও জিমস নিশামের শেষের ঝড়ে।
ফিলিপসের ২১ বলে করা ৩৯ রানের হার না মানা ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ৩টি ছয়। নিশামও ২৩ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ১ চার ও দুই ছয়ে।
জবাবে এই স্কোর টপকাতে যেমন ঝলক দেখানো প্রয়োজন ছিল, নামিবিয়া তা করতে পারেনি। স্টিফেন বার্ডের ২২ বলে ২১ ও মাইকেল ভ্যান লিনগেনের ২৫ বলে ২৫ রানের পর কিছুটা উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা করেন মূলত জেন গ্রিন ও ডেভিড ভিসা। তাও সামান্য কিছু সময়ের জন্য। তাদের খুব বেশি বাড়তে দেননি টিম সাউদি। ২৭ বলে ২৩ রান করা গ্রিন ও ১৭ বলে ১৬ রান করা ভিসাকে সাজঘরে পাঠান কিউই এই পেসারই। এর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লে ৭ উইকেটে ১১১ রান করতে পারে নামিবিয়া।
সাউদি ১৫ রানে নেন ২ উইকেট। ট্রেন্ট বোল্টও ২টি নিয়েছেন ২০ রানের বিনিময়ে। একটি করে নেন মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি ও জেমস নিশাম। ব্যাটে-বলে দারুণ অবদান রেখে ম্যাচসেরাও হয়েছেন নিশাম।