সুপ্রভাত ডেস্ক »
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
বাংলাদেশে সময় শনিবার রাত সোয়া তিনটার দিকে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
হেলিকপ্টার থেকে মুক্তিপণের ডলার ফেলার পরই নাবিকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে মুক্তিপণের অংকটা জানা যায়নি।
ডলার ভর্তি ব্যাগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর জাহাজে অবস্থানরত দস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়।
জলদস্যুরা জিম্মি জাহাজ থেকে নেমে যাওয়ার পর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্যেশ্যে যাত্রা করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজের পাহারায় জাহাজটি সোমালিয়ান সমুদ্রসীমা অতিক্রম করছে।
আরব আমিরাতের বন্দরে পৌঁছতে আরো ৪ দিন সময় লাগতে পারে। সেখান থেকে নাবিকরা বিমানে করে দেশে ফিরবেন।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে দস্যুদের কবলে পড়েছিল।
নিজ দেশের উপকূলে নেওয়ার নয় দিনের মাথায় দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে। নানা পর্যায়ে দর-কষাকষির পর দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছছিল বলে ঈদের আগেই আভাস দিয়েছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জাহাজের ২৩ নাবিকের মধ্যে ১৮ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকে সাইন অফ করবেন বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে রেখেছেন। বাকি পাঁচজন জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে সাইন অফ করবেন বলে জানিয়েছেন।
যতজন নাবিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকে নেমে যাবেন, সমানসংখ্যক নাবিক বাংলাদেশ থেকে সেখানে পাঠানো হবে। নতুন নাবিকেরা যোগ দেবেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে। এরপরই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ফিরিয়ে আনা হবে জাহাজটি।


















































